র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র সজীব হত্যা মামলার দুই আসামি নিহত হয়েছে। বুধবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনার শান্তিপাড়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে সজীব অপহরণ ও হত্যা মামলার তিন আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে এই হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি রাকিবুল র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন দামুড়হুদা শহরের ব্রিজ মোড়পাড়ার আবদুল কাদেরের ছেলে শাকিল (২২) ও চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবি পাড়ার মৃত হামিদুলের ছেলে সবুজ (২১)। এ ঘটনায় শাহিন ও শামীম নামে র্যাবের ২ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটা দেশি শার্টারগান, একটি রিভলবার, চার রাউন্ড গুলি ও দুইটি ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব সূত্র জানায়, বুধবার রাতে র্যাবের একটি টহল দল চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার দর্শনা পৌরসভার শান্তিপাড়া এলাকায় একটি চেকপোস্ট বসায়। এ সময় সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে দেখে চ্যালেঞ্জ করলে তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাবও পাল্টা গুলি চালালে সবুজ ও শাকিল গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় অন্য দুর্বৃত্তরা দুটি মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ সবুজ ও শাকিলকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর উপ-পরিচালক মেজর মনির আহমেদ জানান, নিহত দুইজনই দামুড়হুদায় চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র সজীবকে অপহরণ, খুন ও গুমের আসামি। প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা ভি জে স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজ আলম সজীবকে গত ২৯ জুলাই দামুড়হুদা উপজেলা বৃক্ষমেলা থেকে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে তার পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। এ ঘটনার ৩২ দিন পর ৩১ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা শহরের সিঅ্যান্ডবি পাড়ার একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে সজীবের গলিত লাশ উদ্ধার করে র্যাব।
গো-নিউজ২৪/বিএস