রংপুর: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনকে ঘিরে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোর শুটিংয়ে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। উভয় দলের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়কালে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মেয়র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে নাগরিকদের ভাবনা বিষয়ে উন্মুক্ত টকশোর শুটিংয়ে এই ঘটনা ঘটে।
এসময় উপস্থিত লোকজনরা উভয় দলের সমর্থকদের শান্ত করলেও সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার রংপুর জিলা স্কুল মাঠে রংপুর সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা মেয়র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে নাগরিকদের ভাবনা বিষয়ে উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থীর এক সমর্থকের বক্তব্য ঘিরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এতে উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) মোক্তারুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থান নেয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
টকশোতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, বিএনপির কাওছার জামান বাবলা, বাসদের আব্দুল কুদ্দুস, এনপিপি’র সেলিম আখতার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবু অংশ নেন।
এদিকে টকশোর শুটিংয়ের বিষয়ে পুলিশ প্রসাশনকে আগে থেকে জানানো হয়নি বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোক্তারুল আলম। তবে হাতাহাতির ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরিস্থতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, ১১টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের জন্য ৬৫ জন এবং ৩৩টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের ২১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রত্যাশিত এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের মোট ১৯৩টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ১৭৭টি গোপন কক্ষে ভোট প্রদান করবেন ভোটাররা।
এবার রংপুর সিটিতে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৪২১ ভোটার রয়েছেন। যা গত নির্বাচনের চেয়ে ৩৬ হাজার ভোটার বেশি। এরআগে ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হয়েছিল। নির্দলীয় ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু প্রথম নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
গোনিউজ/এমবি
