মেহেরপুর: বিএ পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি মেহেরপুরের গাংনীর তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজের দুই ছাত্র। গতকাল শনিবার থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৬ সালের ডিগ্রি (পাশ) দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা।
সাহাবুল ও প্রশান্ত কুমার নামের ওই দুই শিক্ষার্থী সময় মতো ফরম পূরণ করলেও কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি। ফলে অনিশ্চিতার মধ্যে পড়েছে তাদের ডিগ্রি পাশের স্বপ্ন।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, সাহাবুল ইসলাম ও প্রশান্ত কুমার দাস নামের ওই দুই ছাত্র অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সাথে ডিগ্রি ফরম পূরণের জন্য কলেজ নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করে রসিদ নেন। গেল কয়েকদিন আগে থেকে ডিগ্রি পরীক্ষার প্রবেশপত্র দেয়া শুরু হয়। ৪ থেকে ৫ দিন ধরে তারা কলেজে ধর্ণা দিয়েও প্রবেশপত্র পাননি। কলেজের অধ্যক্ষ গতকাল শনিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার অফিসে গিয়েও প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ভুক্তভোগী দুই ছাত্র বিভিন্ন মহলে ধর্ণা দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে চোখের পানি ফেলে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এদিকে ফরম পূরণে তাদের নাম না থাকার কারণেই প্রবেশপত্র দেয়নি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘অধ্যক্ষ স্যার আমাদের বলেছেন ইয়ার লস দিতে হবে। আমাদের জীবন থেকে যে একটি বছর কেড়ে নেয়া হল এর দায় কে নেবে? আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করব। ’
এ ব্যাপারে তেরাইল-জোড়পুকুরিয়া ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমি দু’জনের ফরম পূরণ করেছিলাম। কিন্তু আমার কলেজের অফিস সহকারী ও একজন শিক্ষক বেশি টাকার বিনিময়ে খায়রুল ও আরিফ নামের দুই ছাত্রের তালিকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময়ের পরে খায়রুল ও আরিফের নাম অন্তর্ভুক্ত করায় সাহাবুল ও প্রশান্ত বাদ পড়ে। অফিস সহকারী ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব। ’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষ্ণুপদ পাল জানান, ছাত্ররা টাকা জমা দেয়ার পরেও কেন ফরম পূরণ হয়নি এবং প্রবেশপত্র পায়নি তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কলেজ গভর্নিং বডি সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, ‘এ গাফলতির সাথে যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে গর্ভানিং বডির সভা ডেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেব। ’
গোনিউজ২৪/এমবি