ঢাকা: রোহিঙ্গা ইস্যু নিরসনে কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন দেখতে চায় ভারত। এমন তথ্য জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। রবিবার বিকেলে হোটেল সোনারগাঁওয়ে যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের চ্যালেঞ্জগুলো একই। সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থী ও মৌলবাদিতা দুই দেশের চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নেওয়া জিরো টলারেন্স নীতির সঙ্গে আমরাও একমত হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে ভারত যেন মিয়ানমারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করে সেজন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। প্রতিবেশী দুই দেশই পরস্পরের বিশ্বস্ত বন্ধু।
বৈঠকে সুষমা স্বরাজকে এএইচ মাহমুদ আলী স্মরণ করিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সফরকালে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তার আমলেই তিস্তা চুক্তি হবে।
এর আগে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চতুর্থ যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ভারতের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে তাদের উপস্থিতিতেই জ্বালানি ও তথ্য বিষয়ে চুক্তি সই করা হয়েছে।
এর আগে বৈঠকে অংশ নিতে রবিবার বেলা ১টা ৩৭ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সুষমা স্বরাজ। সেখানে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. এইচ. মাহমুদ আলী।
প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর এবার জেসিসি বৈঠকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।সফরকালে রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন সুষমা স্বরাজ। আর রাত ৮টায় হোটেল সোনাগাঁওয়ে বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদার জিয়ার সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা।
গোনিউজ২৪/কেআর