ডেস্ক: রোলবল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ তখন পিছিয়ে ২-১১ গোলের ব্যবধানে। ইরানের বিপক্ষে পেনাল্টি পেয়েছে বাংলাদেশ। পেনাল্টি থেকে গোল করে বাংলাদেশের খেলোয়াড় হৃদয় উল্লাসে মেতে ওঠেন। এরপর ইরানের গোলরক্ষকের দিকে মাঝের আঙুল উঁচিয়ে বাজে অঙ্গভঙ্গি করেন।
বিষয়টি না মানতে পেরে ইরানের খেলোয়াড় মোহাম্মদ রেজা শেখ জাফরি হৃদয়ের দিকে ধেয়ে আসেন। কনুইয়ের গুঁতোয় ফেলে দেন। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন রেজা শেখ জাফরিকে। কিন্তু লাল কার্ড পেলেও বাংলাদেশের ভারতীয় কোচ সুনীল ধাগে উত্তেজিত হয়ে ধেয়ে যান জাফরির দিকে। তর্কের একপর্যায়ে চড় বসিয়ে দেন জাফরির গালে।
জাফরি মূলত ইরানের প্রধান কোচ। প্রথমার্ধে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে রেফারিদের অনেক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেছেন। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে তো কোর্টেই নেমে পড়েন। রোলবল নিয়ম অনুসারে অবশ্য একজন কোচ যেকোনো সময় কোর্টে নেমে খেলতে পারেন।
ইরানের কোচ কাম খেলোয়াড় লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় পুরো স্টেডিয়ামের সবাই বিস্ময়ে হতবাক হন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এসে কোর্টের বাইরে নিয়ে যান বাংলাদেশ কোচকে। বাংলাদেশ দলের ভাবমূর্তি নষ্টের মতো এমন ঘটনায় মিরপুর স্টেডিয়ামে তখন উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক রোলবল ফেডারেশনের কর্মকর্তারাও এমন লজ্জাজনক ঘটনায় নিন্দা জানান।
কিছুক্ষণ পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এসে জাতির কাছে করজোড়ে ক্ষমা চান বাংলাদেশের কোচ। দুই কোচ এরপর সংবাদ সম্মেলন কক্ষে কোলাকুলিও করেন। এরপরও ক্ষুব্ধ ইরানের কোচ বললেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। হৃদয় যে কাজ করেছে, তাতে ওর লাল কার্ড পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু রেফারি হলুদ কার্ড দিয়েছেন ওকে। আমরা রেফারির সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছি।’
গোনিউজ২৪/এম