বিভিন্ন কাজে স্বামী সাধারণত বাইরে থাকেন। তাই বাড়িতে একাই থাকতেন স্ত্রী। স্বামীর অনুপস্থিতে ফোনে আলাপ হয় এক যুবকের সঙ্গে। সেখান থেকেই প্রেম। যার পরিণতিতে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন প্রেমিক-প্রেমিকা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দু’জনেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ভারতের মহিষাদল থানার লক্ষ্যার বাসিন্দা ওই গৃহবধূর সঙ্গে হুগলির খানাকুলের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ পাঁজার। শুক্রবার রাতে প্রতিবেশীদের নজর পড়ে যাওয়ায় প্রেমিক প্রেমিকা দু’জনেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যারর চেস্টা করে।
স্থানীয় মানুষজন অগ্নিদগ্ধ দু’জনকে মহিষদলের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক হুগলির খানাকুলের বাসিন্দা ওই যুবকের চিকিৎসা চলছে। কলকাতায় রেফার করা হয়েছে গৃহবধূকে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজের সূত্রে মহিলার স্বামী বাইরে থাকতেন। আর সেই সুযোগে হুগলির খানাকুলের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ পাঁজার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই গৃহবধূর। দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথাবার্তা চলত। এমনকী মাঝে মধ্যে প্রেমিকার সঙ্গে রাতের অন্ধকারে দেখা করতে আসতেন প্রসেনজিৎ। তবে স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহ থাকলেও প্রমাণের অভাবে কেউ কিছু বলতে পারতেন না।
শুক্রবার রাতে যখন একই ঘরে দু’জনকে দেখতে পান স্থানীয়রা। তখন সব জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে রাতে দু’জনে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করে। স্থানীয়রাই তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
তবে মহিষাদল থানার পুলিশ এই বিষয়ে এখনই কিছু বলতে চাইছে না। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে গৃহবধূর স্বামীকে।
গো নিউজ২৪/এবি