ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রসিকে সরগরম ভোটের বাজার


গো নিউজ২৪ | ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭, ০৩:০০ পিএম আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭, ০৪:৩৬ এএম
রসিকে সরগরম ভোটের বাজার

রংপুর: চলতি বছরের ডিসেম্বরেই অনুষ্ঠিত হতে পারে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন।  দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো হতে যাওয়া এই নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টি, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য দলের প্রায় দুই ডজন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীর প্রচার প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। 

সাম্প্রতিক সময়ের বন্যা, ঈদ, দুর্গাপূজা ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুকে সামনে রেখে আম জনতার সাথে মিলেমিশে একাকার হয়ে ব্যক্তি ইমেজ বাড়াতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা।  দিন দিন বিভিন্ন দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী নবীন-প্রবীণের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি উত্তাপ ছড়াচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণায়ও।

বর্তমানে রসিকের ২০৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকার ৩৩টি ওয়ার্ডেই সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীদের তৎপরতা চলছে। এরই মধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জানান দিতে নগরীতে ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুন, পোস্টার সাটানোর পাশাপাশি কেউ মতবিনিময় করছেন। কেউ হ্যান্ডবিল বিতরণ করে নিজের পরিচিতি বাড়ানো সাথে গাইছেন আস্থা রাখার গান।  আবার কেউ কেউ খণ্ড খণ্ড মিছিলের সাথে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করছেন।  শুধু তাই নয় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সঙ্গেও চলছে পৃথক মতবিনিময়। 

এছাড়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার প্রতিবাদে বিভিন্ন মানববন্ধন-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। আসন্ন নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ায় তারা প্রচার চালানোর পাশাপাশি মনোনয়ন পেতে দলের হাইকমান্ডের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

সরাসরি প্রচার প্রচারণার পাশাপাশি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও বইছে নির্বাচনের সু-বাতাস। সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা প্রতিদিনই কোনো না কোনো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ বা গণসংযোগের ছবি তুলে ধরছেন।  করছেন ভোট প্রার্থনা। কেউ কেউ নগরীর প্রধান সমস্যাগুলো তুলে উন্নয়ন ও সম্ভাবনার কথাও লিখছেন ফেসবুকে। আর সরকার দলীয় নেতাদেরকেই ফেসবুকে বেশি তৎপর থাকতে দেখা যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- বর্তমান মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য চৌধুরী খালেকুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মণ্ডল, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবুল কাশেম, মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মিলন, আওয়ামী লীগ নেতা স্পেশাল জজ আদালতের পিপি রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আতাউর জামান বাবু, তরুণ নেতা রাশেক রহমান, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ, মোছাদ্দেক হোসেন বাবুল, বীরউত্তম আব্দুল মজিদ, সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতা জয়নুল আবেদীন এবং আওয়ামী সমর্থক গোষ্ঠীর ব্যানারে জাপা নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র একেএম আব্দুর রউফ মানিক।

এদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- মহানগর বিএনপির সহসভাপতি কাওছার জামান বাবলা ও সাধরণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মিজু।  জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- পার্টির মহানগর সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও এরশাদের ভাতিজা সাবেক এমপি হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ।

এছাড়া ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মাজিরুল ইসলাম লিটন, জাসদ (আম্বিয়া) রংপুর মহানগর শাখার যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ-নবী-মুন্না, বাসদ রংপুর জেলা সমন্বয়ক আবদুল কুদ্দুস, সমাজ উন্নয়নকর্মী তানবীর হোসেন আশরাফি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এটিএম গোলাম মোস্তফাও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন সামনে রেখে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে প্রায় এক ডজন নেতার মনোনয়নের প্রত্যাশায় কিছুটা হতাশ নগরবাসী।  অনেকেই ক্ষুব্ধ হলেও নিজেদের ইমেজ বাড়ানোর পাশাপাশি দলীয় হাইকমান্ডের নজর কাড়তে থেমে নেই প্রচারণা।  শুধু তাই নয়, এতো বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশীর তোড়জোড়ে সমর্থন নিয়ে বিপাকে পড়েছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও।  সেদিক থেকে বেশ ভালো সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।  তবে জাপা প্রধান এরশাদের সিদ্ধান্তে নারাজ ভাইয়ের ছেলে হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিক।  তাই ক্ষুব্ধ হয়েই চাচাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি।

অন্যদিকে বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন, জাসদ, বাসদসহ অন্যান্য দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনীর মাঠ। তবে শেষ পর্যন্ত কে পাবেন দলীয় মনোনয়ন আর কে হবেন রসিকের দ্বিতীয় মেয়র, তা দেখতে ও জানতে এখন শুধু অপেক্ষারপালা।  

রংপুর সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৯৬টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৭টি। পাঁচ বছর আগে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। রংপুর সিটি করপোরেশন হবার পর ২০১২ সালের ডিসেম্বরে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবার দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো ভোট হবে এ নগরীতে। 

গোনিউজ২৪/এমবি

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা