ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রঙ তুলির আঁচড়ে সাজছে প্রতিমা


গো নিউজ২৪ | স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রাজশাহী প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭, ০৪:৫৯ পিএম আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৭, ১০:৫৯ এএম
রঙ তুলির আঁচড়ে সাজছে প্রতিমা

রাজশাহী: কারিগরের রঙতুলির আঁচড়ে সাজছে প্রতিমা। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। সনাতন ধর্মাবলম্বীর প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা কড়া নাড়ছে দুয়ারে। দুষ্টের দমন, শিষ্টের পালন ও বিশ্বব্যাপী অবারিত মঙ্গলধ্বনি নিয়ে লোকালয়ে আসছেন মা দুর্গা। 

তুলির আঁচড়ে মাকে উদ্ভাসিত করায় ব্যস্ত কারিগররা। শারদীয় দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ঘুম নেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কারও। সর্বত্রই দুর্গোৎসবের আনন্দ।

মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূলত মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। এবার দেবী ধরাধামে আসছেন ঘোড়ায় (ঘোটক) চড়ে। যাবেনও ঘোড়ায় চড়ে। অর্থাৎ ঘোটকে আগমন ও গমনে সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংসারিক ক্ষেত্রে কিছুটা অস্থিরতা প্রকাশ পাবে। ফল যাই হোক, সকল আসুরিক শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শান্তি আনবেন ‘মা’।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, অমিয় সুধা বিলিয়ে মহামায়া এ ধরাকে শুদ্ধ করবেন। 

আর মাত্র এক দিন পরেই সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এখন প্রতিমাগুলো রঙিন করার কাজে ব্যস্ত প্রতিমাশিল্পীরা। তুলির আঁচড়ে সুন্দর করে তোলা হচ্ছে দুর্গা, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষ্মী ও মহিষাসুরের প্রতিমা।

পূজাম-পকে পূর্ণাঙ্গ শৈল্পিক রূপ করে ভক্ত-দর্শনার্থীদের কাছে দৃষ্টিনন্দন করা কারুশিল্পীদেরও এখন ব্যস্ত সময় কাটছে। পূজার প্রস্তুতির এ শেষ মুহূর্তে এখন যেন দম ফেলার ফুরসত নেই শিল্পীদের। দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পী, ডেকোরেটর এবং হিন্দুধর্মালম্বী লোকজন। পূজাম-পকে ঘিরে চলছে মঞ্চ, প্যান্ডেল, তোরণ নির্মাণ ও আলোকসজ্জার কাজ। এরই মধ্যে মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। রং-তুলির আঁচড় দিয়ে শেষ হয়েছে প্রতিমা অঙ্কনের কাজ করছেন। 

রাজশাহীতে এ বছর মোট ৪২০টি ম-পে দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজশাহী মহানগরীতে ৭০টি পূজাম-প আছে।

নগরীতে ১০ থেকে ১২ জন এবং জেলার ৬০ থেকে ৭০ জন কারিগর এসব ম-পে প্রতিমা সরবরাহ করবেন।

রাজশাহী নগরীর আলুপট্টির প্রতিমা তৈরির কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, কার্তিক চন্দ্র পাল ও গণেশ কুমার পালের কারখানার শিল্পীরা প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। সবাই ব্যস্ত প্রতিমার গায়ে রঙ-তুলির আঁচড় দিতে।

ঋষি কান্ত পালের ছেলে প্রতিমা শিল্পী কার্তিক চন্দ্র পাল। ২৫ বছর বয়সের কার্তিক ১৪ বছর বয়স থেকেই এ পেশায় জড়িত। তিনি জানালেন, পঞ্চমীর রাতের আগেই তাদের প্রতিমার সব কাজ শেষ করতে হবে। তাই বাংলা আষাড় মাসের ১৫ তারিখ থেকেই তারা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু করেছেন। সময় মতো প্রতিমা সরবরাহ করতে দিনরাত এক করে তারা কাজ করছেন।

প্রতিমা শিল্পীরা জানিয়েছেন, একটি প্রতিমা তৈরিতে শিল্পীদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রতিমা তৈরির জন্য লাগে ৩ থেকে ৪ ভ্যান মাটি। খড় লাগে ৫ থেকে ৬ পৌন। এছাড়া কাঠ, বাঁশ, দড়ি, পেরেক, সুতা, ধানের তুষ ও কয়েক ধরনের রঙ কিনতে তাদের এই টাকা খরচ হয়। রাজশাহীতে একেকটি প্রতিমা ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।

শিল্পীরা জানান, একটি প্রতিমা তৈরি করতে সময় লাগে ১০ থেকে ১২ দিন। প্রতিমা তৈরিতে কয়েকজন শিল্পী একসঙ্গে কাজ করেন। একেকজন শিল্পী প্রতিমার এক এক কাজে হাত দেন। সবার সম্মিলিত কাজে পূর্ণতা পায় একেকটি প্রতিমা। প্রতিমা বিক্রির পর যে টাকা লাভ হয়, তা তারা সবাই মিলেই ভাগ করে নেন। এভাবে সারাবছরই টুকটাক তারা কাজ করতে থাকেন। 

গোনিউজ২৪/পিআর

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা