ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নারী


গো নিউজ২৪ | নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২৯, ২০১৭, ০৪:১৮ এএম
রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নারী

ধর্ষণের পর রক্তাক্ত অবস্থায় এক নারীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ২৮নং ওয়ার্ডে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে ধর্ষক। গত শুক্রবার গভীর রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েটিকে হাসপাতালে ফেলে রেখে যাওয়ার সময়  ধর্ষক মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কারও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে ওই নারীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস  সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।

এদিকে ঘটনাস্থল নির্ধারণ করতে না পারায় রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত  মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমান উল্লাহ  জানান, ভুক্তভোগী নারী ধর্ষকের কোনো সুস্পষ্ট পরিচয় দিতে পারেননি। এমনকি যে মোবাইল নাম্বারে কথা হতো সেটিও মোবাইল ফোন না থাকায় দিতে পারেননি।

আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে অপরাধের ঘটনাস্থল নির্ধারণ করতে না পারায় এখনো মামলা দায়ের সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীর বাড়ি চাঁপাই নবাবগঞ্জ জেলায়। তাকে প্রথমে তানোর উপজেলার আমনুরা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে নগরীর সাহেববাজার এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে তারা উঠেছিল বলে জানতে পেরেছি।

ওসি আরো বলেন, ইতিমধ্যে তার (ভুক্তভোগী) আত্মীয়দের খবর দেয়া হয়েছে। তারা এলে মামলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


অন্যদিকে খবর পেয়ে শনিবার সকালে মেয়েটির মামা ও মামি রামেক হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে উদ্ধার করেন। 

প্রথমে তাকে বাইরের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু আইনি ঝামেলার কারণে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করাননি। এ অবস্থায় শনিবার বিকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালকের মাধ্যমে তাকে ওসিসিতে ভর্তি করানো হয়।

মেয়েটির মামা বলেন, হাসপাতালে গিয়ে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেঝেতে মেয়েটিকে পেয়েছি। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে সে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। রাতেই রামেক হাসপাতালের এক চিকিৎসক সঙ্গে থাকা ছেলেটিকে রক্তের ব্যবস্থা করতে বলেন। রক্ত আনার কথা বলে ধর্ষক মেয়েটির মুঠোফোন ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়।

সারা রাত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেঝেতেই পড়েছিল ভুক্তভোগী মেয়েটি। মেয়েটির বাবা নেই। মা মেয়েটিকে নিয়ে তার ভাইয়ের বাসায় থাকেন। মা মানসিক প্রতিবন্ধী। মেয়েটিও খানিকটা মানসিক প্রতিবন্ধী। তার বাড়ি চাঁপাই নবাবগঞ্জে। 

সিডিএমের চিকিৎসক তাসনিমা খাতুন জানান, জোরপূর্বক ধর্ষণের কারণে মেয়েটির শরীরে যে জখম হয়েছিল তা আগেই ‘রিপিয়ার করে দেয়া হয়েছে। হয়তো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাতেই তা করা হয়ে থাকতে পারে।

তিনি বলেন, রিপিয়ার করানো হলেও তার রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। তার রক্তক্ষরণ বন্ধের জন্য সিডিএম হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে হাসপাতালের ব্যবস্থাপকের পরামর্শে আইনগত ব্যবস্থার জন্য তাকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করতে পাঠানো হয়।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার ২টা ৪০ মিনিটে মেয়েটিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস  সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ওসিসি থেকে তাকে আইনগত সহযোগিতা দেয়া হবে।

তিনি বলেন, কে বা কারা ভর্তি ছাড়াই মেয়েটিকে ২৮নং ওয়ার্ডে ফেলে রেখে গিয়েছিল বলে শুনেছি। পরে তার পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে নিয়ে যায়। বিকালে বেসরকারি একটি ক্লিনিক থেকে হাসপাতালে পাঠালে তাকে ওসিসিতে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান তিনি।

মেয়েটির মামী জানান, কয়েকদিন থেকে মেয়েটি ফোন কার সঙ্গে যেন বেশি বেশি কথা বলছিল। সে কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে বোঝানো যাচ্ছিল না। সে বলেছিল ছেলেটি কুয়েতে চাকরি করে। সেখান থেকে এসেছে। শুক্রবার বিকালে সবার নজর এড়িয়ে সে বাড়ি  থেকে বেরিয়ে যায়।

উদ্ধার করার পর সে বলেছে, ছেলেটি রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার লক্ষ্মীপুরের কোনো এক জায়গায় নিয়ে রাতে তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। এরপর প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকলে তাকে হাসপাতালে রেখে যায়। যাওয়ার সময় সে তার মুঠোফোন ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।

গো নিউজ২৪/এএইচ

সংবাদপত্রের পাতা থেকে বিভাগের আরো খবর
ব্যাংকে জমানো আমানত কমে যাচ্ছে

ব্যাংকে জমানো আমানত কমে যাচ্ছে

কারা হবে বিরোধী দল, লাঙ্গল না স্বতন্ত্র?

কারা হবে বিরোধী দল, লাঙ্গল না স্বতন্ত্র?

বিভিন্ন ছাড়ে ব্যাংক খাতের আসল চিত্র আড়ালের সুযোগ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বিভিন্ন ছাড়ে ব্যাংক খাতের আসল চিত্র আড়ালের সুযোগ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

পাসপোর্ট এনআইডিসহ ১৯ কাজের অতি প্রয়োজনীয় জন্মসনদ এখন ‘সোনার হরিণ’

পাসপোর্ট এনআইডিসহ ১৯ কাজের অতি প্রয়োজনীয় জন্মসনদ এখন ‘সোনার হরিণ’

সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় যে ব্যাংক

সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় যে ব্যাংক

প্রশাসনের শীর্ষ পদে পদোন্নতিপ্রত্যাশীদের হতাশা বাড়ছে

প্রশাসনের শীর্ষ পদে পদোন্নতিপ্রত্যাশীদের হতাশা বাড়ছে