ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুড়ি খান, স্বাস্থের ঝুঁকি কমান


গো নিউজ২৪ | লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০১৭, ১২:৪২ পিএম
মুড়ি খান, স্বাস্থের ঝুঁকি কমান

বাঙ্গালির খাবারের মধ্যে যেমন- ভাত, মাছ, ভার্ত অন্যতম। তেমন হালকা নাস্তার ক্ষেত্রেও মুড়ি বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। এটা শুধু গ্রামাঞ্চলেই নয়, রাজধানীর বুকে বহু মানুষ সকালে কিবাং বিকেলে মুড়ি খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আমাদের কর্মব্যস্ত জীবনে সকালে অথবা বিকেলে চায়ের চায়ের সঙ্গে টা বলে আমরা বিস্কুট বুঝে থাকি। শুধু কি তাই? তাও আবার ভালো দামের মোটা মোটা বিস্কুট, ক্রিম দেয়া মুখোরোচক বিস্কুট।

সম্প্রতি এক গবেষনায় দেখা গেছে, যদি আপনি কিংবা আপনার সন্তান মুঠো মুঠো বিস্কুট খাচ্ছে। ক্রিম দেয়া বা অনেক টেস্টি বিস্কুট। এতে করে বেশি বিস্কুটে মোটা হওয়া থেকে ডায়াবেটিস পর্যন্ত হতে পারে? সেক্ষেত্রে বিস্কুটের বদলে মুড়ি খান। মেদ কমায় মুড়ি। অন্যদের তুলনায় স্বাস্থ ভালো থাকবে।

চা খেতে ফাইভ স্টার হোটেল খুঁজুন কিংবা বাড়ির ড্রয়িং রুম, চায়ের সঙ্গে টায়ের বাছাই হতে হবে উন্নত মানে। না হয় মান-ইজ্জাত থাকে না। এই মানের কথা চিন্তা করে আপনি অন্যদিকে সর্বনাশ ডেকে আনছেন। সকালের স্ন্যাকস মানেই আমরা বুঝি, চা-বিস্কুট। কোম্পানির ছোট্ট মিটিং কিংবা বন্ধুর বাড়িতে টি পার্টি, বিস্কুটের অবাধ গতি। আর এই গতিতেই সর্বনাশ আরো একটু বড় হয়। বিস্কুট মানেই ময়দা।

শুধু তাই নয়, এখন তো দেশে আর আগের মতো ময়দা পাওয়া যায় না, সব হলো ভুট্টার ময়দা। যা কিনা ভাত ও রুটির চেয়েও বেশি ক্ষতি কর। যারা ডায়াবেটিস বা মোটা হওয়া নিয়ে চিন্তা করলে তাদের এ ধরনের বিস্কুট কম খাওয়াই ভালো। আর এসব তৈরির সময় ভিটামিনের দফারফা। ফাইবার কমে যাওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য। ফলে ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকা।

বিস্কুটে ট্রান্স ফ্যাটের আধিক্য। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়তে থাকে। ওজন বাড়ে। অ্যাগ্রেশন বাড়তে থাকে। ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। বিস্কুটে মিষ্টির পরিমাণ প্রচুর। রোজ চায়ের সঙ্গে টা মানে যদি বিস্কুট হয়, তাহলে ওবেসিটি নিশ্চিত। হঠাত্‍ বাড়িয়ে দেয় ব্লাড সুগার লেভেল। এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা।

নিয়মিত বিস্কুট খাওয়ার কারণে শিশুদের অ্যালার্জি হতে পারে। চিনির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে দাঁতের বারোটা বাজার সম্ভাবনা তো আছেই। 

ভাবছেন তাহলে উপায়? বদলাতে হবে চায়ের সঙ্গে টায়ের সংজ্ঞা। বিস্কুটের বদলে মুড়ি খান। প্রচুর উপকার। এমনটাই দেখা গেছে গবেষনায়। মুড়িকে গরীব খাবার বা সস্তা বলার কোনো সুযোগ নেই। কারণে এতে উপকারিতা বেশি। কম ক্যালরির পেট ভরানোর খাবার মানেই মুড়ি।

যাঁদের বার বার খিদে পায়, অথচ সারাদিনে বেশিরভাগ সময়ে অফিসে বা বাড়িতে বসে কাজ করার জন্য শরীরে ক্যালরির চাহিদা কম, তাঁদের জন্য লাঞ্চ ও ডিনারের মাঝখানে বিকেল বা সন্ধের দিকে মুড়ি হতে পারে আদর্শ খাবার। 

১ কাপ অর্থাত্‍ ১৪ গ্রাম মুড়িতে রয়েছে ৫৬ ক্যালরি। কার্বোহাইড্রেটস ১২.৬ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ফ্যাট মাত্র ০.১ গ্রাম, ফাইবার ০.২ গ্রাম, পটাসিয়াম ১৬ মিলিগ্রাম, আয়রন ৪.৪৪ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ৪ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৪ মিলিগ্রাম, থিয়ামাইন ০.৩৬ মিলিগ্রাম এবং নিয়াসিন ৪.৯৪ মিলিগ্রাম।

ওজন কমাতে সাহায্য করে মুড়ি। সোডিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত কম থাকার কারণে ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে। অনেকটা জল টেনে নেয় বলে পেট ভরে থাকে দীর্ঘক্ষণ।


গো নিউজ২৪/এনএফ

লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর
বিয়ে-বিচ্ছেদ বেড়েছে খুলনার মেয়েদের, কম বরিশালের

বিয়ে-বিচ্ছেদ বেড়েছে খুলনার মেয়েদের, কম বরিশালের

৪ মাসে একবার বিছানার চাদর কাচেন ব্যাচেলররা: গবেষণা

৪ মাসে একবার বিছানার চাদর কাচেন ব্যাচেলররা: গবেষণা

ডেঙ্গু আক্রান্তরা যে কারণে ডাবের পানি পান করবেন

ডেঙ্গু আক্রান্তরা যে কারণে ডাবের পানি পান করবেন

বাংলাদে‌শিদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে নেপাল

বাংলাদে‌শিদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে নেপাল

গর্ভাবস্থায় কী কী খাবার খেলে আপনার সন্তান হবে মেধাবী ও বুদ্ধিমান!

গর্ভাবস্থায় কী কী খাবার খেলে আপনার সন্তান হবে মেধাবী ও বুদ্ধিমান!

ডেঙ্গু সম্পর্কিত যেসব ভুল তথ্য এড়িয়ে যাবেন

ডেঙ্গু সম্পর্কিত যেসব ভুল তথ্য এড়িয়ে যাবেন