নাটোর: বাবার কাছে মিষ্টি খাওয়ার বায়না ধরেছিলো লিখন হোসেন (১০)। বাবা সে বায়না মেটাতে ৫০ টাকা হাতে দিয়ে বললেন মিষ্টি আনতে। কিন্তু বাড়ির পাশে ছোট নদীর ওপারেই বাজার। আর বাজার থেকে মিষ্টি আনতে গিয়ে নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো থেকে পা পিছলে পানিতে তলিয়ে গেলো লিখন। পরে স্থানীয় জেলে, নাটোর ও রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল নদীতে তল্লাশী চালিয়ে ৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করলো লিখনের মরদেহ।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের খলিশাডাঙ্গা নদী থেকে লিখনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে সকাল ৮টার দিকে সে নদীতে ডুবে যায়। লিখন পারগোপালপুর গ্রামের জুয়েল হোসেনের ছেলে ও বরমত্ব পারগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র।
নাটোর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, সংবাদ পেয়ে সকাল ১০টার দিকে নাটোরের ও পরে ১১টার দিকে রাজশাহীর ফায়ার সাভির্সের দল ঘটনাস্থলে আসে। সাতজন ডুবুরী প্রায় ২ ঘন্টা তল্লাশী চালিয়ে লিখনের লাশ উদ্ধার করে। তিনি আরও জানান প্রায় ২০০ ফুট প্রশস্থ খলিশাডাঙ্গা নদীতে পানির অতি গভীরতা ও প্রবল স্রোত থাকায় লিখনের লাশটি খুঁজে পেতে বেশ সময় লেগেছে।
বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইশরাত ফারজানা, নগর ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফা ইয়াসামিন ডালু, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল সালাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসময় ইউএনও ইশরাত ফারজানা ওই নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মান ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে দুইপাড়ের বিশেষ করে নারী, বয়স্ক ও শিশুরা পারাপার হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, এই সাঁকো থেকে নদীতে পড়ে গড়মাটি গ্রামের ৩ জন স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানান।
গোনিউজ২৪/পিআর