যশোর: যশোরের বাঘারপাড়ার চিত্রা নদী থেকে মিনহাজ নামে চার বছরের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে লাশটি উদ্ধারের পর বুধবার (১৬ আগস্ট) ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
শিশুটির বাবা ইমদাদুল হক পলাশের অভিযোগ, পরকীয়ার জের ধরে স্ত্রী সালমা বেগম মিনহাজকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ পানিতে ফেলে দেয়।
বাঘারপাড়া থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম মুঠোফোনে জানান, যশোর সদরের জোড়াদাহ গ্রামের ইমদাদুল হক পলাশের সাথে একই জেলার বাঘারপাড়ার তেলকূপ গ্রামের মানিক মীরের মেয়ে সালমা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের মিনহাজ নামে এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বর্তমান পলাশ-সালমা দম্পত্তির সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। এজন্য সালমা সন্তান মিনহাজকে নিয়ে কিছুদিন হলো পিত্রালয়ে অবস্থান করছেন। সালমার দাবি, শিশুটি নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে মারা গেছে।
অন্যদিকে শিশুটির পিতা ইমদাদুল হক পলাশের অভিযোগ স্ত্রী সালমা সম্প্রতি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। সালমা তার ভগ্নিপতি ইব্রাহিমের ভাই প্রবাসী ইসমাইলের সাথে মুঠোফোনে প্রেম করতো। এর জের ধরে সন্তান মিনহাজকে হত্যা করে পানির নিচে ডুবিয়ে রাখে।
ওসি আরও জানান, আমরা উভয় পক্ষের দাবি বিবেচনা করে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। একই সাথে লাশ উদ্ধারের সময় সালমা, তার মাতা ছায়েরা বেগম, চাচাতো ভাই কামরুল ইসলাম এবং ভগ্নিপতি ইব্রাহিমকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি।
গোনিউজ২৪/পিআর