লালমনিরহাট: স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানির চাপে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় হাসপাতালের পিছনে দু’শ মিটার রেলপথ ভেঙে যায়। গত ১০ দিন থেকে বন্ধ হয়ে পড়ে বুড়িমারী স্থল বন্দরের সাথে সারা দেশের রেল যোগাযোগ। ওই রেলপথ ভেঙ্গে তিস্তা ও সানিয়াজান নদীর পানিতে জেলার হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। নষ্ট হয়ে যায় হাজার হাজার একর জমির রোপা আমন ক্ষেত। ভেসে গেছে শত শত পুকুরের মাছ। ফলে ওই ইউনিয়ন গুলোর হাজার হাজার পরিবার ব্যাপক আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ভেঙে যাওয়া ওই রেলপথটি মেরামত করতে সরকারের অপেক্ষায় না থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় লোকজন।
রোববার (২০ আগস্ট) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা গুলোর শত শত মানুষ নিজ বাড়ি থেকে বস্তা ও ট্রাকে মাটি এনে রেলপথ মেরামতের কাজ শুরু করেন। এতে অংশ গ্রহন করেন হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক অধ্যক্ষ সরওয়ার হায়াত খান, টংভাঙ্গা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম হোসেন ও সির্ন্দুনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরল আমিন।
লালমনিরহাট রেল বিভাগের বিভাগীয় ম্যানেজার নাজমুল হাসান জানান, স্থানীয় লোকজন রেল বিভাগের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে, দেশের মানুষ তা কখনই ভুলতে পারবে না, স্থানীয় জনগণের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।
গোনিউজ২৪/পিআর