বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি হয়েছে সোমবার। আদালত এ বিষয়ে আদেশ দিবেন আগামীকাল মঙ্গলবার।
বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক ও বিচারপতি ভিস্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বিসিবির ও এনএসসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আর রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মাদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক।
আগামী ২ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য বিসিবি’র এজিএম ও ইজিএম বন্ধ রাখার নির্দেশনা চেয়ে রোববার হাইকোর্টে রিট করেন বিসিবির সাবেক পরিচালক মোবাশ্বের হোসেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতিসহ সাতজনকে রিটে বিবাদি করা হয়।
বিসিবির গঠনতন্ত্রসংক্রান্ত এক মামলায় আপিলের রায়কে নিজেদের পক্ষে দাবি করে ২ অক্টোবরের সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভার তারিখ ঘোষণা করায় ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এর আগে একটি আইনি নোটিশ পাঠান মোবাশ্বের হোসেন ।
ওই নোটিশে বলা হয়, ‘নোটিশ প্রাপ্তির ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিসিবিকে বার্ষিক ও বিশেষ সভা আয়োজনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।’
২০১২ সালের ১ মার্চ গঠনতন্ত্র সংশোধন করেছিল বিসিবি। সেটি অনুমোদন না দিয়ে কিছু সংশোধনী এনে ওই বছরের নভেম্বরে নতুন গঠনতন্ত্র তৈরি করে এনএসসি। ডিসেম্বরে এনএসসির সংশোধিত গঠনতন্ত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিসিবির নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য প্রয়াত ইউসুফ জামিল বাবু ও মোবাশ্বের হোসেন। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট রায় দেন, এনএসসির সংশোধিত গঠনতন্ত্র অবৈধ। পরদিনই হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে এনএসসি ও বিসিবি। ওই বছর ২৫ জুলাই আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। পরে দেশের স্বার্থ বিবেচনায় এনএসসির সংশোধিত গঠনতন্ত্রেই নির্বাচনের অনুমতি পায় বিসিবি।
গো নিউজ২৪/এসএম