মির্জাপুর (টাঙ্গাইল): টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বংশাই ও ঝিনাই নদীতে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে কয়েকটি পরিবার গৃহহারা হয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেত জীবনযাপন করছে।
এছাড়া মির্জাপুর থেকে থলপাড়া পর্যন্ত একটি রাস্তার প্রায় ৩০০ ফুট জায়গা ভেঙে গেছে। এ কারণে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর বর্ষার শুরু ও শেষ দিকে নদী দুটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙন ধরে। এরই মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে নদী দুটি থেকে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু তুলছে প্রভাবশালীরা। ফলে বংশাই নদী দুটির গোড়াইল, চাকলেশ্বর, হিলরা, ফতেপুর, সুতানড়ি ও থলপাড়া এলাকায় ভাঙন আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। এবছরও নদী দুটির বিভিন্ন স্থান থেকে প্রভাবশালীরা বালু তুলেছে। এতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে।
উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের জুলেখা বেগম জানান, গত বুধবার রাতে তার বসতঘর ও ভিটের অধিকাংশ জায়গা বংশাই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের সময় টিনের চাল ও গাছ তাদের নৌকার উপরে পড়লে সেটি ডুবে যায়। এখন পর্যন্ত নৌকাটি তুলতে পারেননি।
এদিকে একই গ্রামের শাজাহান দেওয়ান, নবী মিয়া, সেকান্দার ও সাইদুর রহমানেরও বাড়ির অধিকাংশ বংশাই নদীতে বিলীন হয়েছে।
গোড়াইল গ্রামের ইউপি সদস্য জিয়ারত আলী মৃধা জানান, নদীটির কিনার ধরে মির্জাপুর উপজেলা সদর থেকে গোড়াইল-চাকলেশ্বর হয়ে থলপাড়া পর্যন্ত রাস্তা রয়েছে। রাস্তাটি ভাঙনের কারণে স্থানীয়দের খুবই কষ্ট করতে হচ্ছে।
ফতেপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ জানান, ভাঙনের কারণে এ বছর প্রায় ৩০০ ঘর অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। হাট ফতেপুর বাজারের অর্ধশত দোকান এরই মধ্যে ঝিনাই নদীতে বিলীন হয়েছে। হাট ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়, চাকলেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয় ও হিলরা বাজার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ জানান, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
গোনিউজ২৪/এমবি