ব্যাটিং দানব ক্রিস গেইল বলেন, অধিনায়ক মাশরাফী অসাধারণ। তার নেতৃত্বগুনে মুগ্ধ নিউজিল্যান্ডে সাবেক তারকা অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। যে অধিনায়ককে নিয়ে এতো বড় বড় তারকারা মুগ্ধ সেই অধিনায়ক মাশরাফীই নেই বাংলাদেশের টি-টুয়েন্টিতে। ভাবা যায়? হাথুরুসিংহে আমাদের কি ক্ষতিটাই না করে গেল। অনেক বড় ক্ষতি হলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের।
বিপিএলে পাঁচ আসরের পাঁচ বারই ছিলেন অধিনায়ক। দুইবার ঢাকাতে, দুই বার কুমিল্লাতে, একবার রংপুরে। এর মধ্যে তার নেতৃত্বধীন দলই শিরোপা জিতেছে চার বার। দুইবার ঢাকা, একবার কুমিল্লা আর সর্বশেষ আসরে রংপুরের হয়ে।
বিপিএলে বল হাতে ১৫ উইকেট নিয়েছেন। মিতব্যায়ী ছিলেন বোলিংয়ে। বুদ্ধি দিপ্ত বোলিংয়ে নজর কড়েছেন সবার। ব্যাট হাতেও ছিলেন দুর্দান্ত। অন্তত দুটি ম্যাচ নিজেই জিতিয়েছেন ব্যাট হাতে। আর সেই মাশরাফীকে তো যেন কোন দেশ আদর করেই সর্বোচ্চ আসনে বসিয়ে রাখবে।
কিন্তু আমরা সেই মাশরাফীকেই বাধ্য করেছি টি-টুয়েন্টি ছাড়তে। তৎকালীন কোচ হাথুরুসিংহের ষড়যন্ত্রের বলি হয়ে অভিমানে টি-টুয়েন্টিকে বিদায় বলা মাশরাফী এই ফর্মেটের জন্য কতটা কার্যকরী, কতটা নিবেদিত প্রান তা যেন এই বিপিএল আবারো নতুন করে প্রমান করে দিয়ে গেলেন।
বাংলাদেশের সাধারন মানুষ থেকে অনেক ক্রিকেটারই চান মাশরাফি আবারো ফিরে আসুক টি-টুয়েন্টিতে। তবে মাশরাফি এসব নিয়ে কি ভাবছেন?
নাহ, ফেরার কোন পরিকল্পনাই নেই তার। বরং তিনি জানিয়ে দিলেন, আজে বাজে জেদ আমার নেই।
ফের ফেরা নিয়ে মাশরাফী বলেন, ‘কামব্যাকের কথা চিন্তাই করছি না। আর এসব নিয়ে আজেবাজে চিন্তা আমার নেই। আসলে টি-টুয়েন্টিতে আমি যখন খেলছি এটা অনেক মানুষ দেখছে। আমি যতক্ষণ খেলি টি-টোয়েন্টি পছন্দ করি না কিংবা খেলতে পছন্দ করি না, এমন চিন্তা করে থাকলে তা আমার দলের জন্য খারাপ। যারা তরুণ ক্রিকেটার আছে তারা তাহলে ভুল বার্তা পাবে। আমি সব সময় চেষ্টা করি যেটা খেলি, যেখানেই খেলি, আমার শতভাগ দিতে। কি হবে? কত দূরে কি? এগুলো পরিকল্পনা করি না।’
মাশরাফী যখন বলেন ফিরে আসার কোন পরিকল্পনা নেই, তখন হয়তো সাধারণ ভক্ত হিসেবে মনের অজান্তেই একটা কথা অস্পষ্ট স্বরে উঠে আসে, ‘হাথুরুসিংহে আমাদের কি ক্ষতিটাই না করে গেলেন। কত বড় ক্ষতিই না হলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের।’
গো নিউজ২৪/এসএম