ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বরগুনা পুলিশের উদ্যোগে জাগরণী রক্ষা করেছে তিনশোর বেশী পরিবারকে


গো নিউজ২৪ প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭, ০৫:৩৫ পিএম আপডেট: ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭, ১১:৩৬ এএম
বরগুনা পুলিশের উদ্যোগে জাগরণী রক্ষা করেছে তিনশোর বেশী পরিবারকে

নারী নির্যাতন এবং পারিবারিক বিরোধ নিস্পত্তির জন্য ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান করে তুলেছে বরগুনার জেলা পুলিশ। জেলা পুলিশের সহায়তায় জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র নামক এই সংগঠনটি দরিদ্র, বঞ্চিত, অসহায় এবং নির্যাতিত নারীদের সহায়তা দিয়ে আসছে  ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর থেকে। জাগরণী কল্যাণে আজ পর্যন্ত ৩০০ এর অধিক পরিবার রক্ষা পেয়েছে ভাঙ্গনের হাত থেকে।

২০১৫ সালের ১৪ জুন বরগুনার পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন বিজয় বসাক। তিনি যোগ দেয়ার পর জেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি নানা রকম সামাজিক দায়িত্ব পালনে যুক্ত হন। কমিউনিটি পুলিশিং-এর উদ্যোগে নানামুখী সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে পুলিশী সেবাকে জনবান্ধব করে গড়ে তোলেন তিনি। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় জেলা পুলিশ ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে। পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে এটি উদ্বোধন করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ মোঃ হাছানুজ্জামান এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ জুলফিকার আলী খান।

উপকূলীয় জনপদ বরগুনা জেলার দরিদ্র নারীদের জন্যই গড়ে তোলা হয়েছে জাগরণী। পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি, বাল্য বিবাহ, যৌন হয়রানীর মতো সামাজিক ব্যধি প্রতিরোধে জাগরণী কাজ করে। নারীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন গুলো বলছে সমাজে নারীবান্ধব  পরিবেশ গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে জাগরণী নামক সংগঠনটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র ১৩ মাসের ব্যবধানে এ উদ্যোগের মধ্যদিয়ে  নির্যাতনের শৃঙ্খল ছিঁড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছেন তিনশোর বেশী দরিদ্র অসহায় নারী।

বরগুনার  সদর উপজেলার  মনসা তুলির গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী  সালমা বেগমের  ১০ বছরের সংসারে হটাৎ করেই বিরোধ বাধে। বিরোধ এক পর্যায়ে রূপ নেয় বিচ্ছেদের। এ সময় খোঁজ  মিলে পুলিশ সুপারের সহায়তার নারী সহায়তা কেন্দ্র  জাগরণীর। সেখানে যেয়ে সব খুলে বলার পর উভয়ের উপস্থিতিতে বিষটির নিষ্পত্তি করে দেয় জাগরনী। 

এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক জানান, “মামলা পরিচালনার সামর্থ্য নেই অথবা মামলায় আগ্রহী নন এমন দরিদ্র, অসহায় ও নির্যাতিত নারীদের দুর্দশা লাঘবে পুলিশিং সেবার মধ্য দিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে জেলা পুলিশের উদ্যোগে এ সহায়তা কেন্দ্র গঠন করা হয়েছে। আমরা একটি প্যানেল তৈরি করেছি। যেকোনো সমস্যা এলে আমরা এই প্যানেলের মাধ্যমে সমস্যাগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আলোচনা করার সুযোগ করে দেই। আমরা মামলায় না যেয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই সকল সমস্যার সমাধান করতে চাই”।

জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন জেলা পুলিশের একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। তার অধীনে রয়েছেন একজন নারী উপ-পরিদর্শক (এসআই)। এখানে রয়েছে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি অভিযোগ গ্রহণ কমিটি। এছাড়া সার্বিক সহযোগিতার জন্যে স্থানীয় সমাজসেবক, উন্নয়ন কর্মী, আইনজীবী, গণমাধ্যম কর্মী ও নারী নেত্রীসহ ২৫ সদস্যের একটি স্বেচ্ছাসেবক দলও রয়েছে জাগরণী নারী সহায়তা কেন্দ্রের সাথে। বর্তমানে এই সংগঠনটি বরগুনা জেলার অসহায়, দুস্থ ও নির্যাতিত নারীদের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে।

গো-নিউজ২৪/বিএস

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা