ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে প্রতিপক্ষের দেয়া আগুনে ১০টি ঘর পুড়ে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে আশুগঞ্জ ও ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী জানায়, বিকেলে হঠাৎ ফরিদ মিয়া ও ফারুক মিয়ার বাড়িতে আগুন দেখতে পাওয়া যায়। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। এক সময় পুরো বাড়ির ১০টি ঘরেই আগুন লেগে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে এলাকাবাসী উদ্ধার কাজ শুরু করলেও কিছুক্ষণের মধ্যে তা পুরো বাড়ি ঘিরে ফেলে। এতে প্রায় ১০টি ঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ ও ভৈরবের ফায়ার সার্ভিসের দুটি দল এসে প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের মালিক ফারুক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘সোনারামপুর এলাকার খুরশিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি আমার ভাইয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মৃত খুরশিদ মিয়ার দুলাভাই ফরিদ মিয়াও ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অংশীদার। এই ঘটনার পর থেকে খুরশিদ মিয়ার পক্ষের লোকজন ফরিদ মিয়া ও আমার ভাইয়ের ওপর হত্যার অভিযোগ আনেন। এরই জের ধরে শুক্রবার বিকেলে খুরশিদ মিয়ার লোকজন অতর্কিতভাবে আমিসহ আমার ভাইদের ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়। আগুনে আমাদের পরিবারের ১০টি ঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
আশুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, ‘আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেখানে ছুটে যাই। প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চলানোর পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এখনই আগুন লাগার সঠিক কারণ বলতে পারবো না। ’
গোনিউজ২৪/এমবি