ডেস্ক: সৌরজগতের কাছে পৃথিবীর মতো সাতটি গ্রহ আবিষ্কার করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এর মধ্যে তিনটি গ্রহ রয়েছে বাসযোগ্য অঞ্চলে, যেখানে পাথুরে ওই গ্রহের পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে। এগুলো বেশি উষ্ণ নয়, আবার ঠাণ্ডাও নয়।
‘বাসযোগ্য এলাকা’ বলতে কোনো নক্ষত্রের চারপাশে ঘূর্ণায়মান গ্রহগুলোর অবস্থানের এমন একটি এলাকা বোঝানো হয়, যে অবস্থানে থাকলে ওই গ্রহ বা গ্রহদের পৃষ্ঠে তরল পানি থাকার সম্ভাবনা থাকে। আর তরল পানি থাকলে প্রাণ থাকারও জোরালো সম্ভাবনা থাকে।
বলা হচ্ছে, এই নক্ষত্রকে ঘিরে আবর্তিত গ্রহগুলো শক্ত গড়নের। বৃহস্পতির মতো গ্যাসীয় নয়, তবে শিলা দ্বারা গঠিত হতে পারে। স্পেস এজেন্সি সৌরমণ্ডলের এ আবিষ্কারকে ‘রেকর্ড ব্রেকিং’ হিসেবে দেখছে। আর অতি শীতল ক্ষুদ্রাকৃতির ওই নক্ষত্রের নাম দেওয়া হয়েছে টিআরএপিপিআইএসটি-১।
নাসার সদর দপ্তরের বিজ্ঞান মিশন অধিদপ্তরের সহযোগী প্রশাসক থমাস জুরবাচেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ আব্ষ্কিার এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে, দ্বিতীয় পৃথিবীর অনুসন্ধান এখন আর ‘যদি’ এর মধ্যে নেই।
তিনি একে বলছেন অন্য কোনো গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা- এ প্রশ্নের উত্তরের লক্ষ্যে পৌঁছানোর দিকে ‘প্রধান ধাপ এগিয়ে যাওয়া’।
মহাকাশ বিজ্ঞানীদের মতে, টিআরএপিপিআইএসটি-১এফ প্রাণের জন্য উপযুক্ত। এটা পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা শীতল হলেও সঠিক পরিবেশ ও পর্যাপ্ত গ্রিনহাউজ গ্যাসসহ এটা প্রাণের জন্য উপযুক্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই প্রথম দেখলেন, পৃথিবীর আকারের এতগুলো গ্রহ একই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে।
গ্রহগুলো যে তারাকে ঘিরে ঘুরছে, সেটি পৃথিবী থেকে ৪০ আলোকবর্ষ দূরে। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গ্রহগুলো পৃথিবীর আকৃতির এবং সেগুলোর পৃষ্ঠে পানি থাকতে পারে, এর আবহাওয়া হতে পারে প্রাণের জন্য উপযুক্ত।
বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে জেনেছেন, আমাদের সৌরজগতে কয়েক হাজার গ্রহ আছে। সূত্র ফক্স নিউজ।
ভিডিওটি দেখুন:
গোনিউজ২৪/এম