অনেক পুরুষ এ ব্যাপারটি নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামান না। আবার অনেকে শুনেই হেঁসে উড়িয়ে দেন।পুরুষের স্তন! কেউ বা আবার বলেন অতিরিক্ত মোটা হাওয়ার কারণেই এই অবস্থা!
কিন্তু আপনি কি জানেন ‘পুরুষদের স্তন’ বিষয়টির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে ভয়ানয় রোগ। যার বিজ্ঞানসম্মত নাম গোইনোকোম্যাস্টিয়া। অনেকেই হয়তো বিষয়টি জানেন না। এই প্রতিবেদনে দেওয়া হল এই রোগ সম্বন্ধীয় কিছু অজানা তথ্য।
প্রথমেই জানুন গাইনোকোম্যাস্টিয়া কী?
কোনও কোনও পুরুষের স্তনবৃন্তের ঠিক নীচে শক্ত টিশু তৈরি হয়। বেশ লম্বা হয় সেই টিশু। দুটি বৃন্তের নীচেই গজিয়ে ওঠে। ফলে শক্ত ও টাইট হওয়ার পরিবর্তে নরম হয়ে ওঠে বুক। সামনের দিকে ঝুলে আসে। দেখে মনে হয় নারীদের মতোই দুটি স্তন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যাকে বলা হয় গাইনোকোম্যাস্টিয়া।
গাইনোকোম্যাস্টিয়া হওয়ার কারণ কী?
১. বয়ঃসন্ধির সময় ওয়েস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য হারালে পুরুষের স্তনবৃন্তের নীচে টিশু তৈরি হতে পারে।
২. নিষিদ্ধ ড্রাগ, ডাক্তারের প্রেসক্রাইব না করা ওষুধ খেলেও হতে পারে এই ধরণের রোগ।
৩. নারী শরীরে ওয়েস্ট্রোজেন হরমোন বাড়লে স্তনের বৃদ্ধি ঘটে। পুরুষশরীরে স্তন বাড়তে পারে অ্যান্ড্রোজেন হরমোন বেশি নিঃসরিত হলে।
যদিও এই ধরণের রোগ নিয়ে মোটেই চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললে এই রোগ থেকে সমাধান পাওয়া সম্ভব। এরজন্যে কোনও অপারেশন করার প্রয়োজন নেই। যদিও অনেকে এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে অপারেশন করান। কিন্তু তা না করাই ভালো বলে জানাচ্ছেন ডাক্তারদের একাংশ।
গো নিউজ২৪/এএইচ