শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও নেইমার রয়েছেন ব্রাজিলের এই যুব দলের হৃদয়ে। প্যারিস সাঁ জাঁ-র প্রাণভোমরা তিনি। ২০১৪ বিশ্বকাপে এই নেইমারই ছিলেন ব্রাজিল শিবিরের অকুলের কুল, অগতির গতি এবং অনাথের নাথ।
ভাগ্যদেবী অবশ্য নেইমারের সঙ্গে ছিলেন না সেবারের বিশ্বকাপে। কলম্বিয়া ম্যাচে জুনিগার আক্রোশে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছিল ব্রাজিলের দশ নম্বর জার্সিধারীকে। ঘরে বসে সইতে হয়েছিল চরম লজ্জা। দেখতে হয়েছিল তার অবর্তমানে কীভাবে ব্রাজিলের সাজানো বাগান লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল জার্মানরা।
সেই হারের দগদগে ক্ষত এখন রয়েছে ব্রাজিলের শরীরে। ক্ষতে প্রলেপ পড়ারও নয়। যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আবারও সেই দুই দেশ। ব্রাজিলের সামনে জার্মানি। যে ম্যাচ এখন বিশ্বের ফুটবলপাগলদের শরীর থেকে বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ঝরায়। মহা ম্যাচের আগে ব্রাজিলের সাজঘর থেকে ছুঁইয়ে বেরোল নেইমার-জাদুর কথা।
নেইমারের পা জাদুদণ্ড হয়ে ঘুরপাক খায় মাঠে। আর ভারতে পা রাখার পরেই অ্যালান, পাউলিনহো, লিংকনদের জন্য শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন নেইমার, গ্যাব্রিয়েল জেসাস, দানি আলভেজ, মারকুইনহোসের মতো সিনিয়র ফুটবলাররা। গত সপ্তাহে যে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছিলেন নেইমার, সেটাই এখন ব্রাজিল শিবিরের অনুপ্রেরণার অদৃশ্য রিং টোন। জার্মানির বিরুদ্ধে ম্যাচ বলে অবশ্য স্পেশাল কোনো মেসেজ এখনও আসেনি ব্রাজিলের যুব দলের ড্রেসিং রুমে।
নেইমারদের বার্তা পেয়ে বাড়তি উদ্দীপ্ত ফুটবলাররা। সাংবাদিক বৈঠকে পাউলিনহো বলে দিলেন, ‘‘আমরা উদ্দীপ্ত। আমরা একদমই চাপ নিচ্ছি না। এবার আমাদের কিছু করে দেখানোর সময় এসেছে।’’
বিশ্বকাপের সময়ে এই বাংলাতেই অনেকে খুঁজে পান এক টুকরো ব্রাজিল। কলাকাতায় পা ফেলা ইস্তক কার্লোস আমাদিউয়ের কানে পৌঁছেছে সমর্থন জানাতে কার্পণ্য দেখাবে না কলকাতা। পাউলিনহো কলকাতাকে আশ্বস্ত করে গেল, ‘পঞ্চাশ-ষাট হাজার দর্শকের সামনে প্রথমবার খেলব। আমাদের দিকেই সমর্থন থাকবে জানি। আমরাও ফিরিয়ে দেব কলকাতাকে।’’
কলকাতা তৈরি। সাম্বার ছন্দ আগুন জ্বালাবে বৃষ্টিস্নাত কলকাতায়। এই আশাতেই বুক বেঁধেছে আনন্দনগরী।-এবেলা
গোনিউজ২৪/এআর