কবে নাগাদ ছাঁদনাতলায় বসবেন? কেমন পাত্র পছন্দ? ভক্ত- শুভাকাঙ্খীদের কাছ থেকে এমন প্রশ্নের প্রায়ই মুখোমুখি হতে হয়। নিজেরা কি ভাবছেন? শীতকাল যে চলে এলো। চারদিকে বিয়ের ধুম লাগার অপেক্ষা। বিয়েকে ঘিরে প্রতিটি মানুষের জীবনে থাকে রঙিন সব স্বপ্ন। শোবিজের তারকা কিংবা সেলিব্রেটিরাও এর বাইরে নন! অবিবাহিত এমন সুন্দরী তারকাদের যেমন পাওয়া যায় না প্রেমের খবর। তেমনি বিয়ে কবে তাও নির্দিষ্ট করে জানা যায় না। হয়তো হুট করে ভেঙ্গে দিবেন কোন স্বপ্ন দেখা পুরুষের। তার আগে এক নজর তাদের বায়োডাটা ফের দেখা যাক-
দিলশাদ নাহার কনাঃ
‘এ বছরই বিয়ের পিড়িতে বসবো’ কতবার কত সংবাদই না হলো। কিন্তু সে বছর আর আসেনি। এবছরের শুরুর দিকেও বলেছিলেন বিয়েটা এ বছরই সেরে ফেলবেন। কিন্তু তা আর কবে! বছর যে শেষ হয়ে গেল।
ব্যক্তিগত পরিচয়ঃ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কনা ১৫ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। জন্মসালটা সঠিকভাবে জানা না গেলেও তা যে ত্রিশের কোঠায় সেটা জানা যায়। শৈশবকাল কাটে তার মা-বাবা এক ভাই এবং এক বোনের সাথে। কনার ভালো নাম দিলশাদ নাহার কণা হলেও পারিবারিক পরিমন্ডলে তিনি আরও দুটি নামে পরিচিত। বাবা-মায়ের কাছে কনা নামটি কনুতে রূপান্তরিত হলেও বাচ্চাদের কাছে তাঁর নামটি আরও মজার-‘কনামনা’। মিরপুরের টাইনি টটস স্কুলে ভর্তি হওয়ার মধ্য দিয়েই কনার স্কুলজীবনের হাতেখড়ি। ঢাকার মগবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং লালমাটিয়া কলেজের ছাত্রী ছিলেন।
বিদ্যা সিনহা মীমঃ
নায়িকা ও মডেল বিদ্যা সিনহা মিমের বিয়ের বাজার এখন তুঙ্গে। গ্ল্যামার এ নায়িকা ইতিমধ্যেই অসংখ্য ভক্তের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। তবে এই নায়িকার মন জুড়ে এখনো কেউসেভাবে দখল করে নিতে পারে নি। সৎ আর স্বচ্ছল ছেলে পছন্দ মিমের। মিম চান এমন একজন ছেলে যে তার যতœ নিবে। তার সঙ্গে ভালো মানুষ হতে হবে, যে মিমকে বুঝবে, তার কাজে সহায়তা করবে। আর হ্যাঁ তার সঙ্গে চাই ভালোবাসা, শুধু ভালোবাসা।
ব্যক্তিগত পরিচয়ঃ ১৯৯২ সালের ১০ নভেম্বর রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বৃশ্চিক রাশির জাতিকা। মিমের বাবা বিরেন্দ্র নাথ সাহা একজন শিক্ষক এবং মা ছবি সাহা একজন গৃহিনী। লেখালেখিরও হাত রয়েছে। ২০০৭ লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন। বাবা সরকারি কলেজের শিক্ষক হওয়ায় বিভিন্ন জেলায় ঘুরে বড় হয়েছেন মিম। বাবার চাকরীসুত্রে ভোলা জেলা এবং কুমিল্লায় ছিলেন বেশ কিছু সময়। তার কাছে তার প্রিয় জেলা হল তার জন্মস্থান রাজশাহী জেলা। মীমের ছোট একটি বোন আছে যার নাম প্রজ্ঞা সিনহা সাহা মমি।
মেহজাবিনঃ
পড়াশুনাটা এখনো শেষ হয়নি। বয়সটাও যে খুব বেশি হয়েছে তা নয়। কিন্তু সেটা বিয়ের জন্য যথেষ্ঠ। বাবা মা চাপ দেয় কিনাকে জানে! তবে ভক্তদের কাছে ঠিকই প্রশ্ন শুনতে হয় কবে বিয়ে?
বিয়ে নিয়ে তার ভাবনা? ক্যারিয়ার এবং বিয়ে মানুষের জীবনে দুটো দুরকম প্রভাব ফেলে। সেক্ষেত্রে ভাল ক্যারিয়ার পাওয়া থেকে ভাল বর পাওয়াটা বেশি দরকার। আর আমি আমার অর্নাসটা শেষ করে বিয়েনিয়ে ভাবতে চাই’
ব্যক্তিগত পরিচয়ঃ পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামে। শৈশবে বেড়ে উঠেছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। মেহজাবিন শান্ত-মারিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্রী। ও লেভেলে পড়াশুনা করার সময় ২০০৯ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার থেকে বিজয়ী হয়ে মিডিয়া জগতে আসেন। এরপর নিয়মিতই কাজ করছেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
হোমায়রা হিমুঃ
নাটক-উপস্থাপনার জগৎ পেরিয়ে অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। দীর্ঘদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল হিমুর বিয়ের খবর। কিন্তু হয় হচ্ছে করেও হচ্ছে না। আর হিমু জানালেন এটা ঠিক পাত্র খোজা হচ্ছে কিন্তুমনের মতো পাত্র পাচ্ছি না। তাহলে হিমুর মনের মতো পাত্র হতে হলে কেমন হতে হবে? হিমু জানালেন, যে তাকে সম্মান করবে আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে সহায়তা করবে তাকেই বিয়ে করবেন হিমু।
ব্যক্তিগত পরিচয়ঃ ছোট পর্দার প্রিয়মুখ হোমায়রা হিমু ২৩ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর হলেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ভূমিষ্ঠ হন। খালা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন তার নাম রাখেন। হোমায়রা হিমুর আভিধানিক অর্থ শিশির। শীতের সময় জন্মেছিলেন বিধায় এ নামটি রাখা হয়েছে।
অর্ষাঃ
সৎ হবে, অর্ষার কাজে কোনো বাধা দিবে না এমন কাউকেই বিয়ে করবেন অর্ষা।
ব্যক্তিগত পরিচয়ঃ অর্ষার জন্ম ঢাকার মিরপুরে। বাবা ইনামুল হক এবং মা মাসুদা হক। তিন বোনের মধ্যে অর্ষা সবার বড়। মা-বাবা এবং ছোট দুই বোনসহ তিনি বর্তমানে মোহাম্মদপুর থাকেন। অভিনয়ের পাশাপাশি অর্ষাগার্হস্থ্য অর্থনীতি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দখাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানদ বিষয়ে লেখাপড়া করছেন।
অপর্ণা ঘোষঃ
ব্যক্তিগতভাবে বিয়ে নিয়ে এ মুহূর্তে কোনোকিছুই নাকি তার চিন্তা-ভাবনায় নেই। বিয়ের বিষয়টি অভিভাবকদের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। ‘তাছাড়া আমার কোনো ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীর কাছে যদি ভালো পাত্রের খোঁজ থাকে, তাহলে আমাকে জানাতে পারেন। এ কথা বলে অপর্ণা বিয়ের বিষয়টি যেন হেসেই উড়িয়ে দিলেন।
ব্যক্তিগত পরিচয়ঃ অপর্ণার পৈতৃক নিবাস চট্টগ্রামে। ২৫ সেপ্টেম্বর তার জন্মদিন। বাবা আলোকনাথ ছিলেন চট্টগ্রামের থিয়েটারের সাথে যুক্ত। তার হাত ধরেই অভিনয়ে হাতেখড়ি হয় অপর্ণার। ২০০৬ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় সেরা পাঁচে ছিলেন। টিভি নাটক, মডেলিং, চলচ্চিত্রে অভিনয়, উপস্থাপনাসহ বিনোদন জগতের সবক্ষেত্রেই এখন তার রয়েছে সরব পদচারণা।
জ্যোতিকা জ্যোতিঃ
ছেলে হিসেবে কেমন পাত্র পছন্দ তা জানা যায়নি। তবে তার কিছু ব্যক্তিগত পরিচয় তো দেয়াই যায়।
ব্যাক্তিগত পরিচয়ঃ জন্ম ময়মনসিংহের গৌরীপুরে। লেখাপড়া ইংরেজি সাহিত্যে। আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে মাস্টার্স করেছেন। ওই সময় যোগ দেন ময়মনসিংহের বহুরূপী থিয়েটারে। তবে এ নাট্যদলের হয়ে মঞ্চে ওঠার সুযোগ হয়নি তাঁর। জ্যোতিকা জ্যোতির পুরো নাম জ্যোতিকা পাল (জ্যোতি)। চার ভাইবোনের মধ্যে তিনিই বড়। বাবা নিতাই পাল একজন স্কুল শিক্ষক ছিলেন।
বিপাশা কবিরঃ
আইটেম কন্যা থেকে নায়িকার খাতায় নাম লিখিয়েছেন। কবে নাগাদ বিয়ের পিড়িতে বসছেন তা সঠিকভাবে জানা যায় নি। নোয়াখালীর মেয়ে বিপাশা কবির। এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটিতেসিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশুনা করেছেন। নাচ, অভিনয়ে যেমন পারদর্শী তেমনি ভালো ছবিও আঁকেন বিপাশা। তিনি জানান, অভিনেত্রী না হলে চিত্রশিল্পী হওয়ার চেষ্টা করতেন।
সোনিয়া হোসেনঃ
বিয়ের আগে প্রেম করবেন। এ তার প্রতিজ্ঞা। তবে এখনো কাউকে তেমন খুজে পাননি এ অভিনেত্রী। ভক্তরাও খুঁজে দিতে পারেন। সে অপশন রেখেছেন।
ব্যাক্তিগত পরিচয়ঃ রংপুরের গাইবান্ধার মেয়ে সোনিয়া। নিউ ক্যাসলের দনর্থাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিদ থেকে আইন বিষয়ে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করতে লন্ডনে ব্রডকাস্টিং চ্যানেল দস্কাইদতে চাকড়ির অভিজ্ঞতাও রয়েছে তার। বর্তমানে ফুল টাইম অভিনেত্রী।
ঈশানাঃ
একজন ভালো মানুষের বুকে মাথা রেখে জীবনটা কাটিয়ে দিতে চান গ্ল্যামার কন্যা ঈশানা। তবে বিয়ের ব্যাপারে উপরওয়ালার উপরই ভরশা করতে চান তিনি। তারপরও কেমন ছেলে চান জানতে চাইলে ঈশানা জানান, যার আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালো, ভালো বন্ধু হবে, তাকে বুঝবে, বিশ্বাস করবে আর সম্মান করবে এমন ছেলেকেই জীবন সঙ্গী হিসেবে চান তিনি।
আইরিনঃ
মডেলিংয়ের চেয়ে এখন অভিনয়েই বেশি মনোযোগি। ছেলে হিসবে স্মার্ট হতে হবে। ভালবাসতে হবে প্রচুর।
ব্যক্তিগত পরিচয়ঃ বাবা মতিয়ার রহমান একজন ব্যবসায়ী এবং মা শামসুন্নাহার গৃহিণী। পরিবারে তিন ভাইবোনের মধ্যে আইরিন সবার ছোট। ১৯৮৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয়া কন্যা রাশির এই জাতিকা র্যাম্প ও অভিনয়কে অনেক ভালোবাসেন। আইরিনের জন্মস্থান যশোরের নওয়াপাড়া। সেখানেই তার শৈশব কেটেছে। এইচএসসি পর্যন্ত নওয়াপাড়ায় ছিলেন। ২০০৬ সালে ঢাকায় স্থায়ী হন।
শশীঃ
হাজার বছর ধরের নায়িকা শশি বিয়ে করবেন পারিবারিকভাবেই। পাত্রও নাকি খোজা হচ্ছে। শশি বলেন, বাবা মায়ের পছন্দ করা পাত্রকেই বিয়ে করবো আমি। তারপরও নিজের পছন্দের কথা বলতে গেলেভাল, একজন সলভেন্ট পাত্র, সৎ চরিত্রবান মানুষই চাইবো।
লারা লোটাসঃ
বাসা থেকে বিয়ের চাপ আছে। তিনি বলেন, দমানুষের জীবনে সবথেকে কঠিন কাজ হল তার লাইফ পার্টনারকে বেছে নেওয়া। মাঝে মাঝে মনে হয় এই সর্বোত্তম কঠিন কাজটা যদি না করা লাগত, ভাল হত। সেক্ষেত্রে শুধু বাবা-মা নয় আমারও পছন্দের দরকার আছে। তাই একটু সময় নিয়েই বিয়ে করা প্রয়োজন।’
মাসুমা রহমান নাবিলাঃ
ব্যস্ততম উপস্থাপক নাবিলা এরই মধ্যে অমিতাভ রাজার ‘আয়নাবাজি’ ছবিতে কাজ করেছেন। বিয়ে নিয়ে তিনি বললেন, ‘আপাতত মাথায় বিয়ের ভূত নেই! এটি পুরোপুরি আমার পরিবারের উপর নির্ভর করছে। আর পাত্র হিসেবে আমি চাই আমার সঙ্গী আমাকে বুঝবে এবং আমার পেশাকে সম্মান করবে। দুজন দুজনায় সুখ-দুঃখের ভাগীদার হবো।
আশাঃ
জনপ্রিয় মডেল ও ভিট তারকা আশা বলেন, আপাতাত বিয়ে নিয়ে নিজের কোনো মাথাব্যথা নেই। তবে ফ্যামিলি চাচ্ছে আমি বিয়ের জন্য প্রস্তুতি নেই। আমিও জানিয়েছি, এখনই না। আরো কিছু সময়েরপ্রয়োজন যাতে করে নিজে আরো প্রতিষ্ঠিত হতে পারি। আর প্রেম করে বিয়ে করতে চাই। বিয়েটা হবে পারিবারিকভাবেই। অন্তত চার-পাঁচ মাস একসাথে মিশবো যাতে আমাদের বোঝাপড়াটা মজবুত হয়। তাছাড়া আমি চাইবো আমি যাকে বিয়ে করবো সে যে কোনো পেশা থেকে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।
গো নিউজ২৪/ডদি
