ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পঁচাত্তরের পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল শুরু করেছিল, যারা এদেশের মাটিতে জন্মগ্রহণ করেনি, পাকিস্তানের সেই প্রেতাত্মারাই বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। ইতিহাস যতই মুছতে চেষ্টা করুন, তা সম্ভব নয়। ইতিহাস সত্যকেই তুলে ধরে।
৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিলের স্বীকৃতি দেয়ায় ইউনেস্কোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো ভাষণ এত দিন, এত ঘণ্টা প্রচার হয়নি। ওই ভাষণে যতই বাধা এসেছে মানুষ ততই জাগ্রত হয়েছে।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যারা এ ভাষণ বাজাতে বাধা দিয়েছে, আজ যখন ইউনেস্কো এই ভাষণকে ঐতিহাসিক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে তখন তাদের কি লজ্জা হয় না? জানি না এদের লজ্জা-শরম আছে কিনা? কারণ এরা তো পাকিস্তানি বাহিনীর প্রেতাত্মা।
শেখ হাসিনা বলেন, তখন ৫৬ শতাংশ মানুষ ছিল পূর্ব পাকিস্তানে। কিন্তু বাঙালির কোনো অধিকার ছিল না। পশ্চিম পাকিস্তানিরা সম্পূর্ণ শোষণ করেছে। তারা আমাদের মাতৃভাষার অধিকার কেড়ে নিতে চেয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তিনি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন।
নাগরিক কমিটির ব্যানারে আয়োজিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নাট্য ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আবদুল আলীম চৌধুরীর কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী।
গো নিউজ২৪/এবি