একের পর বিতর্কে সবসময় আলোচনায় নেইমার। অনেক জল ঘোলা করে সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় এসেছিলেন নেইমার। আবার কাতালান দলটি থেকে পিএসজিতে গেছেন জল ঘোলা করেই। প্যারিসের ক্লাবটিতে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছেন। সেখানে কাভানির সঙ্গে দ্বন্দ্ব।
তবে এবার নতুন কোন বিতর্ক নয়, পুরনো অভিযোগেই জরিমানার মুখে পড়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। নিজ দেশে ব্রাজিলে কর ফাঁকির অভিযোগে ১.২ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১ কোটি টাকা জরিমানার মুখে পড়েছেন নেইমার। ব্রাজিল আদালতের চোখে যেটি ব্রাজিলিয়ান ওয়ান্ডার বয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতির প্রাপ্য ফল।
নেইমার কর ফাঁকির মামলায় জড়িয়েছেন দুই বছর আগেই। সে মামলার ‘ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি’ করতে ‘ধোঁকা দেওয়া’র চেষ্টার অভিযোগে পিএসজির ফরোয়ার্ডকে ১২ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা) জরিমানা করেছেন ব্রাজিলের আদালত।
আদালতের রায়ের বিষয়টি সামনে আসে মঙ্গলবার, সেদিন নেইমারকে ব্রাজিলিয়ান ৩.৮ মিলিয়ন রিয়েল জরিমানা করেন দেশটির তৃতীয় প্রাদেশিক আদালত। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নিজদেশে কর ফাঁকির অভিযোগে ২০১৫ সালে ব্রাজিল তারকার ৬২.২ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করছিল দেশটির আদালত। এরমধ্যে ছিল নেইমারের ব্যক্তিগত জেট বিমানও।
মঙ্গলবার একই আদেশে আদালত জানিয়েছেন সময়মত এবারের জরিমানা পরিশোধ করা না হলে নেইমারের বাবা-মা এবং তার পরিচালিত তিনটি কোম্পানিকেও জরিমানা করা হবে।
আদালতের মতে রোজগার এবং ইমেজ সত্ত্ব থেকে প্রাপ্য অর্থের ট্যাক্স ফাঁকি দিতে নামকাওয়াস্তে কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন নেইমার। সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ কর দিতেন তিনি। কিন্তু এই বাঁকা পথের আশ্রয় না নিলে নেইমারকে পরিশোধ করতে হত কমপক্ষে ২৭.৫ শতাংশ কর।
আদলতের রায়ে তৃতীয় প্রাদেশিক আদালতের বিচারক কার্লোস মুতা জানান, এভাবে কর ফাঁকি দিয়ে বিচার ব্যবস্থার মর্যাদা লুণ্ঠন করেছেন নেইমার। এমনকি বারবার তাকে সতর্ক করার পরও প্রতিবারই ‘মিথ্যে প্রতিশ্রুতি’ দিয়ে সময়ক্ষেপণ করার অভিযোগও আনা হয়েছে নেইমারের নামে।
গো নিউজ ২৪/এ আই