ঢাকা: রাজধানীর পান্থপথে ‘জঙ্গি আস্তানা’য় নিহত ‘জঙ্গি’ সাইফুল ইসলামের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা। জাতীয় শোক দিবসে সেখানে জঙ্গি হামলার পরিকল্পনার ছিল।
হোটেল ‘ওলিও গ্রিন হ্যাভেন’ হোটেলে চারতলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘অপারেশন আগস্ট বাইট’ প্রাথমিকভাবে শেষ হওয়ার পর এমন তথ্য জানালেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে আইজিপি আরো জানান, নিহত ‘জঙ্গি’র নাম সাইফুল ইসলাম। তার বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়ায়। তার বাবা একটি মসজিদের ইমাম। আর সাইফুল ছিলেন খুলনার বিএল কলেজের ছাত্র।
আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক বলেন, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ৩২ নম্বরকেন্দ্রিক ‘জঙ্গি’ সাইফুলের একটি হামলার পরিকল্পনা ছিল। খবর পেয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট পান্থপথ এলাকা ঘিরে ফেলে।
প্রাথমিকভাবে অভিযান শেষ হয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, নিহত ‘জঙ্গি’ নিজেই আত্মঘাতী হয়ে বিস্ফোরণ ঘটান। তবে আত্মঘাতী এই ‘জঙ্গি’ নব্য জেএমবির সদস্য কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিখোঁজের তালিকায় সাইফুল ছিলেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের পশ্চিম পাশে ছয় নম্বর ভবনটি ১১ তলা। এর চার তলায় অবস্থিত হোটেল ‘ওলিও গ্রিন হ্যাভেন’। এই হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষে একজন জঙ্গি অবস্থান নিয়েছেন- এমন খবর জানতে পেরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) ভোর থেকেই ভবনটি ঘিরে ফেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এক পর্যায়ের পান্থপথের রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে আটকে পুরো এলাকায় ঘিরে রাখে পুলিশ ও পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াটের সদস্যরা।
তবে সকাল পৌনে ১০টায় ঘিরে রাখা ভবনের বিপরীত দিকে ওলিও হোটেলের আরেকটি চারতলা ভবনে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। এতে বহুতল ভবনটির একটি ফ্লোরের দেয়াল ধসে পড়ে। টানা পাঁচ মিনিটের মধ্যে কয়েকবার গোলাগুলির আওয়াজ আসে।
গোনিউজ২৪/এন
