রাজশাহী: বগুড়ায় ধর্ষণের পর নির্যাতনের শিকার মেয়ে ও তার মাকে নিয়ে আসা হয়েছে রাজশাহীতে। নিরাপত্তার জন্য মেয়েকে সরকারি সেফহোমে এবং তার মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে আনা হয়েছে।
আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে তাদের রাজশাহীতে আনা হয়। রাজশাহী মহানগর পুলিশের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ইফতে খায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইফতে খায়ের জানান, মা ও মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই রাজশাহীতে নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়াও রাজশাহীর সেফহোম ও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের পরিবেশ অনেক ভালো।
এর আগে সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে মা-মেয়েকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। দুপুরের দিকে পুলিশ তাদের বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এবং শিশু আদালতের বিচারক ইমদাদুল হকের এজলাসে হাজির করে। এরপর নির্যাতিত মেয়েটি ও তার মায়ের নিরাপত্তার ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্ত চায় পুলিশ।
বিকেলে এক আদেশে আদালত নির্যাতিত মেয়েটিকে রাজশাহী বিভাগীয় সরকারি সেফহোমে এবং মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ জুলাই বিকেলে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়ার শহর শ্রমিক লীগেরন নেতা তুফান সরকার। পরে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা সরকার এবং তার বড় বোন নারী কাউন্সিলর এবং তুফানের ক্যাডাররা ধর্ষণের শিকার মেয়েটি ও তার মায়ের ওপর নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ২৮ জুলাই রাতে মামলা করেন।
গোনিউজ/এন
