চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের ঝালিয়ে নিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। এটি তাদের জন্য বড় ধরনের প্লাস পয়েন্ট। কারণ দলে অফফর্মে থাকা খেলোয়াড়রা নিজেদের ঝালিয়ে ভালোভাবে ফিরতে পারবেন ট্রফিতে। তাছাড়া মর্টিন গাপটিল, টেইলর, ল্যাথাম ও গ্যান্ডহোমরাও কিন্তু সেরা সময় পর করছেন। গেল আইপিএলে নিজেদের সেরাটা দেখিয়েছেন তাদের কয়েকজন।
এবারের টুর্নামেন্টটিতে ব্ল্যাক ক্যাপসরা হট ফেবারিট না হলেও একেবারে অবহেলার পাত্রও তারা নন। কারণ মর্টিন গাপটিল, টেইলর, ল্যাথাম ও গ্যান্ডহোমদের যে কেউ একজন জ্বলে উঠলে ঠিকই খবর করে ছাড়বে প্রতিপক্ষ দলের। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও পারদর্শী সম্পন্ন রয়েছে দলটিতে। যেমন কোরি অ্যান্ডারসনের মতো অলরাউন্ডার যেকোনো বোলিং আক্রমণ একাই গুড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। বোলিংয়ে ট্রেন্ট বোল্ট, জিমি নিশাম ও টিম সাউদির উপর অনেকটা সাফল্য নির্ভর করবে।
ভারসাম্য দল নিয়ে মিনি বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছেন প্রাক্তন চ্যাম্পিয়নরা। কাগজে-কলমে সেরা দল এবং পূর্ণ আত্মবিশ্বাস ও অনুশীলন নিয়ে মাঠে নামতে পারছেন তারা।
সবার নজর থাকবে পেসার ট্রেন্ট বোল্টের দিকে। ইংলিশ কন্ডিশনে কুকাবোরা বল যদি সুইং করা শুরু করে তাহলে কপাল খারাপ ব্যাটসম্যানদের! ২০১৫ বিশ্বকাপের মতো ট্রেন্ট বোল্ট যে কোনো ব্যাটিং অর্ডার একাই ধসিয়ে দিবেন। শুধু বোল্ট না মিচেল স্টার্কও বড় হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবেন।
চাপে থাকবেন কোরি অ্যান্ডারসন। এক বছর আগে অলরাউন্ডার হিসেবে অ্যান্ডারসনের বিকল্প কেউ ছিল না। এখন কোলিন ডি গ্র্যান্ডহোম চলে এসেছেন। ডানহাতি দীর্ঘদেহী এ অলরাউন্ডারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্যূতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন।
বাজিরদরে নিউজিল্যান্ড পিছিয়ে। কিন্তু নিজেদের দিনে কিউইরা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে তা জানা অনেকেরই। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এবার তারা চ্যাম্পিয়ন হলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ :
২ জুন: প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া
৬ জুন: প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড
৯ জুন: প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ
প্রস্তুতি ম্যাচ :
২৮ মে: প্রতিপক্ষ ভারত
৩০ মে: প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা
গো নিউজ২৪/এআর