ঢাকা: ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি অভিনেতা চিত্রনায়ক রাজ্জাক। ষাটের শেষের দিকে ঢাকাই সিনেমায় পদার্পণ করলেও সত্তুরের গোড়া থেকেই চলচ্চিত্রে প্রধান হয়ে উঠেন এই তারকা অভিনেতা। তার প্রয়াণের দিনে তাই সতীর্থসম গীতিকার, চলচ্চিত্রকার ও প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার তাকে এই দেশের একটি ‘ইন্সটিটিউশন’ বলে মন্তব্য করেন।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নায়ক রাজ রাজ্জাক। এরপরেই গোটা বাংলাদেশে তার ভক্ত অনুরাগীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। হাসপাতালে তার মরদেহ দেখতে ছুটে আসেন প্রবীন ও নবীন অভিনেতারা। নায়ক রাজের মৃত্যু শোকে অনককেই দেখা গেছে অশ্রুসিক্ত। মঙ্গলবার বেলা দশটা পঞ্চাশ মিনিটের দিকে প্রাণের কর্মস্থল এফডিসিতে আনা হয় নায় রাজের মরদেহ। আর এখানেই বেলা এগারোটা পঞ্চাশ মিনিটের দিকে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার আগে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন চিত্রনায়ক রাজ্জাকের সহযোগি, সহকর্মী ও সতীর্থরা। স্মৃতিচারণ করেন তাকে নিয়ে। এমনি একজন প্রখ্যাত গীতিকার ও চলচ্চিত্রকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার।
চিত্রনায়ক রাজ্জাকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এসে এফডিসিতে এদিন সকালে চলচ্চিত্রাঙ্গনের এই প্রবীন মানুষটি বলেন, রাজ্জাক সব বন্ধন ছেদ করে চলে গেছেন। এটা একদিকে যেমন দুঃখের, অন্যদিকে আমি বলবো এটা আমাদের প্রেরণারও উৎস। একজন রাজ্জাককে নিয়ে একদিন বক্তৃতা দিয়ে, একদিন ফুল দিলে বা একদিন স্মরণ করলে রাজ্জাকের মূল্যায়ন হবে না।
এরপর তিনি চিত্রনায়ক রাজ্জাককে ‘ইনস্টিটিউশন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, রাজ্জাক এটকটা ইন্সটিউশন, আর এই ইনস্টিটিউশনে যারা আমরা কর্মী আছি এবং আগামি প্রজন্মতে যারা আসবেন তাদের জানতে দিতে হবে যে অতি অল্প সময়ে সিনেমা গানে আমরা একটা সমৃদ্ধ অবস্থায় আসতে পেরেছিলাম। আর এতে যাদের অবদান আছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন অবদানকারী হচ্ছেন রাজ্জাক। আমাদের মনে রাখতে হবে যে, একটি ‘জীবন থেকে নেয়া’ ছবি দিয়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা তৈরি করতে পেরেছিলাম।
গো নিউজ/এমটিএল