কর্মক্ষেত্রে যে নারী যতবেশি বুকের ভাঁজ (ক্লিভেজ) দেখাতে পারেন তাকে তত বেশি শক্তিধর বলে মনে করা হয়। অধীনস্ত কর্মচারীরা তাকে বস মানেন।
অন্যদিকে যেসব পুরুষ তাদের শার্টের উপরের দিকের বোতাম আটকে রাখেন তাদেরকে দেখা হয় অপেক্ষাকৃত কম শক্তিধর হিসেবে।
এক গবেষণায় এ কথা বলেছে জার্নাল অব সোশ্যাল সাইকোলজি। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, কোনো নারী যদি অফিসের বস হন এবং তার বুকের ভাঁজ দেখা যায় তাহলে তার দিকে নজর থাকে সবার। তিনি কর্তৃত্ব খাটাতে পারেন। তাকে সম্মান করেন সবাই। তার কমান্ড শোনেন।
এর মধ্যে রয়েছে কোনো এক সম্মোহনী যাদু। বিশেষ করে নারী সহকর্মীরাতো বটেই, পুরুষরাও তার অধীনস্ত হয়। গবেষণার এমন তথ্যে বিস্মিত ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিনের গবেষকরা। গবেষকরা বলছেন, নারী যদি তার ঢিলে পোশাকের নিচে অন্তর্বাস না পরেন তাহলে তারা বেশি পাওয়ারফুল হয়ে ওঠেন বলে তাদের বিশ্বাস।
এর ফলে পোশাক নিয়ে যে সচেতনতা এবং নিজেকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করার যে প্রতিযোগিতা তাতে এক মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব উইসনসিনের গবেষকরা বলছেন, পোশাকের মাধ্যমে যদি প্রলুব্ধ করা হয় তার একটি নেতিবাচক প্রভাব থাকবে। তাদের ভাষায়, কিন্তু আমাদের গবেষণা বলছে, এমন উস্কানিমুলক পোশাক পরার কারণে শক্তিরও প্রকাশ ঘটে।
এ গবেষণায় ১৭০ জন নারী ও ২৯ জন পুরুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদেরকে একটি ডেস্কে কর্মরত নারীদের ছবি দেখানো হয় এবং রেটিং করতে বলা হয়। বলা হয়, নেতৃত্ব বা বস নির্ধারণ করতে।
এতে দেখা যায় যেসব নারী বুকের ভাঁজ প্রকাশ করেছেন অথবা যেসব নারী অন্তর্বাস পরেন নি বা বোতাম লাগান নি তাদেরকে বেশি শক্তিধর হিসেবে বেছে নিয়েছেন জরিপে অংশগ্রহণকারীরা।
গো নিউজ২৪/এএইচ