ঢাকা: শিশুটির নাম শাকিবা। বয়স মাত্র দু’বছর। বুঝতেই শেখেনি বিশাল পৃথিবীটাকে। এর মধ্যেই দিন দিনই ছোট হয়ে আসছে ওর পৃথিবী। স্বপ্ন দেখা তো শুরুই হয়নি। অথচ এই একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বাবা-মার দেখা স্বপ্ন নিভে যেতে বসেছে।
দেশব্যাপী বিরল রোগাক্রান্তদের মিছিলে শাকিবারও নাম। কত বিরল রোগী সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে শুধু সংবাদমাধ্যম আর হৃদয়বান মানুষকে পাশে পেয়ে। কিন্তু ছোট্ট শাকিবার কথা কেউ জানে না। না কোনো সংবাদমাধ্যম, না কোনো হৃদয়বান। সেজন্যই হয়তো না ফুটতেই ঝরে যেতে পারে শাকিবা নামের ফুলটি।
২০১৫ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের আক্কেলপুর গ্রামে জন্ম হয় শাকিবার। তার বাবার নাম আব্দুল সাত্তার। তিনি একজন গরীব কৃষক। আর মা সাবিনা বেগম একজন গৃহিনী।
জন্মের সময় ছোট্ট শাকিবার ডান হাতে খানিকটা আবছা আবরণ ফুটে ওঠে। এরপর সেটা অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে বাবা-মা মিলে সামান্য সাধ্য থেকে মেয়েটিকে নিয়ে যান রাজধানী ঢাকায় চিকিৎসা করাতে। তবে টাকা পয়সা শেষ হয়ে যাওয়ায় ফিরে আসতে হয় তাদের।
চিকিৎসা শেষ না করায় আরো অস্বাভাবিক হয়ে পড়েছে হাতটি। দেখলে অনেকেই ভয় পায়। শাকিবার মা কান্নাজড়িতে কণ্ঠে বলেন, আমি তো আমার মেয়ের কষ্ট বুঝি। চিকিৎসা করার মতো আমাদের সাধ্য নেই। চোখের সামনে হয়তো দেখতে হবে বিনা চিকিৎসায় বুকের ধনকে চলে যেতে।
শাকিবার বাবা গরীব চাষী আব্দুল সাওার বললেন, আমার একমাত্র মেয়ের চিকিৎসা করাতে পারছি না। বাবা হয়ে এ সীমাবদ্ধতায় কষ্ট পাই। একটি ফুল যেন না ফুটতেই ঝরে যাচ্ছে চোখের সামনে। কেউ কি হাত বাড়াতে পারে এ ফুলকে ফুটতে দিতে?
গোনিউজ২৪/এন