নরসিংদী শহরতলির গাবতলী উত্তরপাড়া এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছেন র্যাব সদস্যরা। শনিবার বিকেলে র্যাব ১১-এর একটি দল বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। পুলিশ সদস্যরাও সেখানে আছেন।
এলাকার লোকজন সূত্রে জানা গেছে, ঘেরাও করা ওই বাড়ির মালিকের নাম মঈন উদ্দিন ওরফে মঈন আহমেদ। তিনি দুবাইয়ে থাকেন। এ বাড়িতে তাঁর পরিবারের কেউ থাকেন না।
বাড়িটি নির্মাণাধীন একটি দোতলা ভবন। কিছুদিন আগে তিনজন স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ার কথা বলে বাড়িটি ভাড়া নেন বলে জানা যায়। এর পর থেকেই র্যাব সদস্যরা বাড়িটি তাদের নজরদারিতে নেন। ওই তিনজন ভাড়াটের সঙ্গে আজ আরো দুজন যুবক বাড়িতে ওঠার খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলেন।
বাড়ির ভেতরে থাকা সন্দেহভাজন লোকজনকে জানালা দিয়ে উঁকি ঝুঁকি মারতে দেখা গেছে। কখনো তাঁরা বিদ্যুতের আলো জ্বালান, আবার নিভিয়েও ফেলেন।
তবে যে কোনো সময়ই বাড়িতে অভিযান শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে র্যাব ১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান ঘটনাস্থলে গেছেন। তিনি সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরই অভিযান শুরু হবে বলে জানা গেছে।
তবে র্যাব ১১-এর অধিনায়ক সাংবাদিকদের বলেছেন, র্যাবের আরো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসছেন। তারা আসার পর অভিযানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ঘটনাস্থলে র্যার ১১-এর সিনিয়র এএসপি আলেক উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা সন্দেহ করছি বাড়িটিতে জঙ্গি রয়েছে। ঢাকা থেকে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আসার পর অভিযানের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।’ তবে তিনি বাড়ির ভেতরে কতজন অবস্থান করছেন সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে পারেননি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, পাঁচ-ছয়জন সন্দেহভাজন লোক বাড়িতে রয়েছে। তবে একটি সূত্র থেকে চারজনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলো জাফর, সালাহ উদ্দিন, বাছির ও আলামিন।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অভিযানটি পুরোপরি র্যাব কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে। আমরা তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছি মাত্র। সেখানে আমাদের পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছেন।
র্যাব বাড়ির মালিক দুবাই প্রবাসী মঈন উদ্দিন আহমেদের ছোট ভাই জাকারিয়াকে তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
তবে র্যাব ১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, ‘আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। রাত যতই ঘনিয়ে আসে, তাতে অভিযান চালানো কষ্টদায়ক হবে। এলাকাবাসী ও সাধারণ লোকজনের নিরাপত্তার স্বার্থে সুযোগ বুঝে অভিযান চালাব যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা না ঘটে।’
গো নিউজ২৪/এএইচ
