ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ধ্বংসস্তূপে বসেই ইফতার ওদের


গো নিউজ২৪ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০১৭, ১২:২০ পিএম
ধ্বংসস্তূপে বসেই ইফতার ওদের

ছয় বছরের গৃহযুদ্ধ ক্ষত-বিক্ষত করে দিয়েছে এক সময় মধ্যপ্রাচ্যের ঝলমলে দেশ সিরিয়াকে। ২০১১ সালে দেশটিতে শুরু হওয়া আরব বসন্তের জেরে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে লাখো মানুষ। আর গৃহহীন হয়েছে অসংখ্য। সিরিয়ার চারপাশে তাকলেই যেন শুধু ধ্বংসস্তূপ। সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবনের একটু স্বাদ নিতে চায় নিরীহ সিরীয়রা।

পবিত্র রমজানে তাই বোমায় ধসে পড়া একটি ভবনের পাশেই তারা আয়োজন করেছে একটি ইফতার অনুষ্ঠানের। দেশটির ডুমা শহরের ওই ইফতার অনুষ্ঠানের ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিকমাধ্যমগুলোতেও। মৃত্যু আর ধ্বংসের মধ্যে যেন সিরীয়দের জেগে ওঠার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে ছবিটি।

চলতি সপ্তাহে রাজধানী দামেস্কের এই উপশহরটিতে ইফতারের আয়োজন করে সিরীয় বিদ্রোহীদের সংস্থা আদেলেহ ফাউন্ডেশন। তুর্কি অর্থায়নে পরিচালিত হয় এই দাতব্য সংস্থাটি। ইফতারের ছবি এবং ভিডিওতে দেখা যায়, স্থানীয় কয়েক ডজন বাসিন্দা দিনের শেষভাগে জড়ো হয়েছেন সেখানে। এর মধ্যে আছে হাস্যোজ্জ্বল অনেক শিশু। ওরাই যেন গড়ে তুলবে আগামীর সিরিয়াকে।

এই শিশুদের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াবে সিরিয়া

আদেলেহ জানিয়েছে, ঈদ পর্যন্ত তারা এই ইফতারের অনুষ্ঠান করবে। শুক্র অথবা শনিবার ঈদ হবে সিরিয়ায়। সংস্থাটির মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, ‘বিমান হামলার ঝুঁকি থাকার কারণে খুব সতর্কভাবে এ ধরনের আয়োজন করতে হয়। তবে সাম্প্রতিক চুক্তির সুবিধা পেয়েছি আমরা।’

এর আগে গত মাসে পুরো সিরিয়ার চারটি এলাকাকে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ ঘোষণা করে একটি চুক্তি হয় দেশটির সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে। চুক্তির মধ্যস্থতা করেছে তুরস্ক, রাশিয়া এবং ইরান।

প্রসঙ্গত, আরব বসন্ত থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১১ সালের ১৫ মার্চ সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর দেরায় গণতন্ত্রপন্থীরা শুরু করে শান্তিপূর্ণ একটি বিক্ষোভ। এরপর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলনটি। বিক্ষোভকারীদের দমাতে তাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে আসাদ বাহিনী। বিক্ষোভ যত ছড়িয়ে পড়ে নির্যাতনের মাত্রাও তত কঠোর হতে থাকে।

এরই এক পর্যায়ে নিজেদের রক্ষার জন্য বিরোধীরা হাতে তুলে নেয় অস্ত্র। স্থানীয় পর্যায় থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে হটাতে শুরু করে তারা। ‘বিদেশি মদদপুষ্ট’ সন্ত্রাসবাদকে উপড়ে ফেলে দেশকে নিয়ন্ত্রণে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন আসাদ। এতেও কোনো কাজ হয়নি। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর একটি দল সরকারের বিরুদ্ধে গঠন করে বিদ্রোহী ব্রিগেড। ছড়িয়ে পড়ে গৃহযুদ্ধ।

ন্যায় নীতির চেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় আসাদের পক্ষে বা বিপক্ষে যুদ্ধ করার বিষয়টি। যুদ্ধে ইরান, রাশিয়া, সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো আঞ্চলিক এবং বিশ্বশক্তিগুলোর অংশগ্রহণ একটি প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আসাদ কিংবা বিদ্রোহীদের পক্ষে তাদের সামরিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সমর্থন যুদ্ধকে আরো তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী করে তোলে। প্রক্সি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয় সিরিয়া।

সেখানে শিয়া-সুন্নি বিভেদ তৈরি করে বিদেশি শক্তিগুলো। উভয় পক্ষই একে অপরের ওপরে চালায় নির্মমতা। এতে ক্ষীণ হয়ে আসে রাজনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনার আলো। সবচেয়ে ভয়াবহ হয়ে দাঁড়ায় জঙ্গি গোষ্ঠি ইসলামিক স্টেট (আইএস)। বিভিন্ন চরমপন্থী গোষ্ঠি দখল করে নেয় সিরিয়ার অনেক অঞ্চল। দেশটির উত্তর এবং পূর্বাঞ্চলের বিশাল একটি এলকা দখল করে নেয় আইএস।

গো নিউজ২৪/ আরএস

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর
পাকিস্তানের নির্বাচনে জিতে যাচ্ছে ইমরান খান-সমর্থিত স্বতন্ত্ররা

পাকিস্তানের নির্বাচনে জিতে যাচ্ছে ইমরান খান-সমর্থিত স্বতন্ত্ররা

একসঙ্গে মরতে এসে সরে গেলেন প্রেমিকা, ট্রেনে কেটে প্রেমিকের মৃত্যু

একসঙ্গে মরতে এসে সরে গেলেন প্রেমিকা, ট্রেনে কেটে প্রেমিকের মৃত্যু

তোশাখানা কী, চাঞ্চল্যকর যে মামলায় স্ত্রীসহ ফেঁসে গেলেন ইমরান খান

তোশাখানা কী, চাঞ্চল্যকর যে মামলায় স্ত্রীসহ ফেঁসে গেলেন ইমরান খান

জাপানে ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫টি ভূমিকম্পের আঘাত

জাপানে ২৪ ঘণ্টায় ১৫৫টি ভূমিকম্পের আঘাত

ডালিম দিয়ে তৈরি আফগানিস্তানের পানীয় বিশ্বজুড়ে আলোচনায়, কিনছে আমেরিকাও

ডালিম দিয়ে তৈরি আফগানিস্তানের পানীয় বিশ্বজুড়ে আলোচনায়, কিনছে আমেরিকাও

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র