রায়পুর (লক্ষ্মীপুর): লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাবা মামলা তুলে নিতে অস্বীকার করায় তাকে বেদম পিটিয়ে আহত করেছে ধর্ষকসহ তার পরিবার। বর্তমানে মামলার বাদী এবং ওই কিশোরীর বাবা দরিদ্র রিকশা চালক মফিজ উল্যা (৫০) রায়পুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে কেরোয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কেরোয়া গ্রামের ২নং ওয়ার্ড আব্বাস আলী মিয়াজীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাত ৮টায় ধর্ষিতার বাবা মফিজ উল্যা ধর্ষক নুর আলমসহ ৫ জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর মামলার বাদী মফিজ উল্যার প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের সদু মিয়ার ছেলে নুর আলম। এ ঘটনায় মফিজ উল্যা নুর আলমকে আসামি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের ভিত্তিতে রায়পুর থানায় মামলা হলে আসামি নুর আলমকে দায়ী করে চার্জশিট দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকার পর অভিযুক্ত নুর আলম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেল হাজতে পাঠায় আদালত। দীর্ঘ সাত মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে তিন মাস আগে জামিনে বেরিয়ে এসে একের পর এক মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতে থাকে নুর আলমসহ তার পরিবার। এ নিয়ে রোববার দুপুরে ধর্ষিতা কিশোরীর বাবার সাথে ধর্ষক নুর আলম ও তার ভাই বেলায়েত হোসেনের সাথে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে নুর আলম ও তার ভাই বেলায়েত ধর্ষিতা কিশোরীর বাবাকে পিটিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আহত মফিজ উল্যাকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষক নুর আলম ও তার ভাই বেলায়েতের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্তের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গোনিউজ২৪/এমবি