ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ত্রাণ: প্রতিপ্রাণ ৮৫৮ গ্রাম চাল, ৯ টাকা!


গো নিউজ২৪ | ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট প্রকাশিত: আগস্ট ২৩, ২০১৭, ০৭:৩৭ পিএম
ত্রাণ: প্রতিপ্রাণ ৮৫৮ গ্রাম চাল,  ৯ টাকা!

রংপুর: গেল ১০ আগস্ট থেকে পাঁচদিনের অবিরাম বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পানি ও ভারি বর্ষণে তিস্তা, ঘাঘট, দুধকুমার, যমুনেশ্বরী ও  আখিরা নদীর পানির তোড়ে ৩ লাখ ১২ হাজার ১২৪ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব পরিবারের জন্য গেল ২০ আগস্ট পর্যন্ত সরকারিভাবে ২৬৮ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাতে ক্ষতিগ্রস্তরা জনপ্রতি পেয়েছেন মাত্র ৮৫৮ গ্রাম চাল ও ৯ টাকা ৬১ পয়সা করে। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।

এদিকে, রংপুর সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে এবারের বন্যায় রংপুরে ক্ষতিগ্রস্তদের সংখ্যা দেড় লাখ পরিবারের ওপরে। সে হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬ লাখ। সরকারিভাবে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা এতোটাই অপ্রতুল যে কোনোভাবেই বানভাসি দুর্গত মানুষের কাছে যেতে পারছেন না জনপ্রতিনিধিরা।

এবারের বন্যায় রংপুরের বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা, বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও সমাজসেবা সংগঠনগুলো ত্রাণ নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ালেও এখনো এনজিওসহ বেসরকারি উদ্যোগে সে রকমভাবে ত্রাণ বিরতণে তৎপরতা দেখা যায় নি।

রংপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামের দেয়া তথ্য মতে, রংপুর জেলায় গত ১০ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত উজান থেকে নেমে আসা পানি আর অবিরাম বর্ষণে ৭৮ হাজার ৩১ টি পরিবার অর্থাৎ কমবেশি ৩ লাখ ১২ হাজার ১২৪ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব পরিবারের জন্য ১৯ আগস্ট পর্যন্ত সরকারিভাবে ২৬৮ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে গঙ্গাচড়ায় ২৪ হাজার ৬৫০ টি পরিবারের জন্য ১০৫ মেট্রিক টন, বদরগঞ্জে ১৫ হাজার ৮০০টি পরিবারের জন্য ১৫ মেট্রিক টন, কাউনিয়ায় ১০ হাজার পরিবারের জন্য ৫৩ মেট্রিক টন চাল, পীরগঞ্জে ৮ হাজার ৫৫০ টি পরিবারের জন্য ২০ মেট্রিক টন, পীরগাছায় ৭ হাজার ২৬০ টি পরিবারের জন্য ৪০ মেট্রিক টন, মিঠাপুকুরে ৫ হাজার ৭০ টি পরিবারের জন্য ১০ মেট্রিক টন, তারাগঞ্জে ৩ হাজার ২৩৫ টি পরিবারের জন্য ১৫ মেট্রিক টন এবং  সিটি করপোরেশন বাদে সদরে ২ হাজার ৪৬৬ টি পরিবারের জন্য ১০ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। আর ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে কাউনিয়া ও গঙ্গাচড়া উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে। এছাড়াও দুর্গতদের জন্য ৪০০ মেট্রিক টন চালের চাহিদা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সব ভেসে গেছে...

রংপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসের এই হিসেব অনুযায়ী বানভাসি মানুষের জন্য ১৯ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি সহায়তা দেয়া হয়েছে জনপ্রতি ৮৫৮ গ্রাম চাল ও নগদ ৯ টাকা ৬১ পয়সা মাত্র। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।

এদিকে বন্যার পানি নেমে গেলেও বন্যা দুর্গত এলাকার অসহায় মানুষের আর্তনাদ থামছে না। ১৯৮৮ সালের পর স্মরণকালের এই ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দিন কাটছে খেয়ে না খেয়ে। এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে পানিবাহিত নানা রোগ।

রংপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, বনাদুর্গতদের তালিকা তৈরি করে তাদের কাছে সরকারি সহযোগিতা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর এখন তাদের পুনর্বাসন, স্যানিটেশনসহ তাদের প্রযোজনীয় সকল কিছু দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই আমরা ৪০০ মেট্রিক টন চালের আবেদন উপরে পাঠিয়েছি। তা আসা মাত্রই বিতরণ করা হবে। তিনি সরকারের পাশাপাশি সামর্থ্যবান সবাইকে বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

গোনিউজ২৪/এন

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা