ঢাকা: ১৯৯৩ সালে ঢাকাই চলচ্চিত্রে মুক্তি পায় সুপার হিট সিনেমা ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। এটি বলিউডের আমির খান ও জুহি চাওলা জুটির সুপারহিট হিন্দি চলচ্চিত্র 'কেয়ামত সে কেয়ামত তক'-এর অফিসিয়াল রিমেক। আর এই ছবিতেই অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে অভিনয়ে নাম লেখান প্রয়াত চিত্রনায়ক সালমান শাহ ও মৌসুমী। প্রথম সিনেমা দিয়েই বাজিমাৎ করার পর অভিনয় জগতে তারা প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। অথচ এই সিনেমাটি করার কথা ছিলো নাকি ছোট পর্দার জনপ্রিয় জুটি তৌকির ও বিপাশা হায়াতের!
হ্যাঁ। সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবির মধ্য দিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন সালমান ও মৌসুমী নামের একেবারে নতুন একটি জুটি। যারা এই ছবিটিতে অভিনয় করার পর থেকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও নির্মাতাদের চোখের মনি হয়ে ওঠেন। অথচ এই জুটির নাকি জন্মই হতো না যদি ছোট পর্দার তৌকির ও বিপাশা রাজি হতেন ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছবটিতে অভিনয় করতে!
আসলে নব্বইয়ের গোড়ার দিকে ভারতীয় ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ ছবিটি দুর্দান্ত ব্যবসাসফল হয়েছিলো। চারদিকে নাম ডাক পড়ে গিয়েছিলো ছবিটির। বাংলাদেশের মানুষকেও এই ছবিটি দেখাতে তাই অফিশিয়ালি রিমেক করার সিদ্ধান্ত নেন নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। তাই আমির খান ও জুহি চাওলার মতোই বাংলা ছবিতেও তিনি খুঁজছিলেন একেবারে নতুন মুখ। সেইজন্য তিনি বেশ কয়েকজনকে ছবিটি করতে প্রস্তাব করেছিলেন। এরমধ্যে তৌকির ও বিপাশা জুটি অন্যতম।
কিন্তু সেসময় সোহানুর রহমানের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেছিলেন তৌকির ও বিপাশা দুজনেই। কারণ তারা কমার্শিয়াল সিনেমায় আসতে চাননি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে নির্মাতা সালমান শাহ ও মৌসুমীকে খুঁজে বের করেন। ঢাকাই সিনেমায় জন্ম হয় নতুন একটি জুটির।
এমন ঘটনার প্রায় দুই যুগ পর জানা গেলো এসব অজানা তথ্য। আর সেটা জানালেন তৌকির-বিপাশা নিজেরাই। সম্প্রতি মাছরাঙা টেলিভিশন আয়োজন করে বিশেষ ঈদ অনুষ্ঠান ‘কেমিস্ট্রি’তে এসব কথা বলেন এই তারকা দম্পতি। রুম্মান রশিদের পরিকল্পনা ওচিত্রনায়িকা নাবিলার উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি ঈদে সম্প্রচার হবে।
গো নিউজ/ঢাকা
