ট্রেনে অনৈতিক করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ঘটনাও এখন আর মানুষকে অবাক করে না। মুম্বাইয়ে এলফিনস্টোনে পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যুপথযাত্রীকেও শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়। আমজনতার মনে প্রশ্ন জাগে। কিন্তু যে বা যাঁরা এসব কাণ্ড করেন, তাঁরাও তো এই সমাজেরই অংশ। সভ্য সমাজের আড়ালে মুখোশ পরে ঘাপটি মেরে বসে থাকে কোনও কোণে। আর সুযোগ বুঝেই লিপ্ত হয় কুকর্মে।
নিজেদের পাশবিক চাহিদাগুলো প্রকাশ্যেই শরীরী ভাষায় ব্যক্ত করতে তৎপর হয়ে পড়ে এরা। দু'দিন আগেই সামনে এসেছে সেরকমই একটি ঘটনা। ঘটনাটির কথা ফেসবুকের মাধ্যমে জানিয়েছিলেন অনামিকা দাস নামে এক মহিলা যাত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে ভাইরাল হয়ে যায় খবরটি। কিন্তু জানেন কি, একই ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী বিদ্যা বালানও? নিজে মুখেই সেকথা জানিয়েছেন তিনি।
তিনি তখন বলিউড অভিনেত্রী নন, সেন্ট জেভিয়ার্সের কলেজ ছাত্রী। তখনই এই রকম নিন্দনীয় ঘটনার সাক্ষী থাকতে হয়েছিল তাঁকে। বিদ্যার কথায়, ‘ঘটনাটির দিন আমি কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। ট্রেনের মহিলা কামরায় উঠতে গিয়েই দেখি, এক পুরুষ যাত্রী সেখানে বসে রয়েছে। এরপরই ওই ব্যক্তিকে আমি নেমে যেতে বলি। কিন্তু ওই যাত্রী জানায়, সে নাকি জানত না ওটা মহিলা কামরা। পরের স্টেশন আসলেই নেমে যাবে। কিন্তু পরের স্টেশনেও সে নামল না। উলটে দরজার সামনে দাঁড়ায় এবং সবার সামনেই প্যান্ট খুলে হস্তমৈথুন করতে থাকে। এরপরই হাতে থাকা ফাইল এবং বই দিয়ে ওই লোকটিকে মারি। ভাগ্য ভাল পরের স্টেশন চলে আসে। আর সে নেমে যায়। নাহলে ওই দিন ওই ব্যক্তি মারা যেত।’
ভারতে প্রতিনিয়ত পথে-ঘাটে এমনই হীন কিছু ব্যক্তির দেখা মেলে। যাঁদের এড়িয়ে নিজেদের নিরাপত্তা খুঁজে নিতে হয় মহিলাদের। সাধারণ মানুষ যখন ভাবেন, এর থেকে নিচে আর নামতে পারে না সমাজ, তখনই ঘটে অপ্রত্যাশিত সব ঘটনা। বিদ্যার এই ঘটনাকে নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
গো নিউজ২৪/এসআর