জলবায়ু পরিবর্তন রোধ বিষয়ক ‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তি’ থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে প্রত্যাহার করে নেবে কি না- সে বিষয়ে আগামী সপ্তাহে নিজের সিদ্ধান্ত জানাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি এ নিয়ে মিত্রদের পক্ষ থেকে চাপে আছে দেশটি।
এক টুইটার বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ওয়াশিংটনে ফিরে তিনি প্যারিস চুক্তির ব্যাপারে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ জানাবেন। চুক্তির ব্যাপারে সদস্য দেশগুলোকে কোনো ধরনের নিশ্চয়তা না দিয়েই শনিবার জি সেভেন সম্মেলন শেষ করে ইতালির সিসিলি ছেড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এর আগে চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। বিভিন্ন সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকে ‘ভাওতাবাজি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখনও আগের অবস্থানেই আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে প্যারিস চুক্তিতে থাকবেন কি না- সে ব্যাপারে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন বিশ্বনেতারা।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রথম কোনো সমন্বিত চুক্তি। এতে বৈশ্বিক উষ্ণতা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। আর এই লক্ষ্যে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলো চুক্তিতে কার্বন নিঃস্বরণের মাত্রা কমিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।
৫৫টি দেশের স্বীকৃতির পরই চুক্তিটি কার্যকর হয়। বিশ্বের মোট কার্বন নিঃস্বরণের ৫৫ শতাংশের জন্য দায়ী এই ৫৫ দেশ। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বিশ্বে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃস্বরণে চীনের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ওই চুক্তি মানতে নারাজ বর্তমান মার্কিন প্রশাসন।
গো নিউজ২৪/ আরএস