অভিষেক সিরিজেই ভারতের সাথে দুবার পাঁচ উইকেট নিয়ে নিজের ক্ষমতাকে বিশ্বের কাছে জানিয়ে দিছিলেন বাংলাদেশের কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। সেই ভারতীয় দলের ডিরেক্টর ছিলেন রবি শাস্ত্রী। মুস্তাফিজকে আরো বেশি যত্ন নেয়াটা জরুরি বলে মনে করেন শাস্ত্রী। তবে এবার এই বাংলাদেশের বিরল এই প্রতিভাকে খুব সাবধানে, বুঝেসুঝে ব্যবহার করার পরামর্শ দিলেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার রবী শাস্ত্রী।
ভারতীয় দৈনিক পত্রিকা আনন্দবাজারে দেয়া নিজস্ব কলামে রবি শাস্ত্রী বলেন, ‘আমার কোথাও মনে হচ্ছে মুস্তাফিজুরের আরও যত্ন নেওয়া জরুরি। এ রকম খাঁটি প্রতিভাকে লালন করার আরও লোক চাই।’
মুস্তাফিজের প্রতিটি বলে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বৈচিত্র। শাস্ত্রী বলেন, ‘মুস্তাফিজুরের ভাণ্ডারেও তেমন একটা বিরল ডেলিভারি আছে। এমনিতে ওর অস্ত্র দুরন্ত সুইং, ধারালো কাটার আর এমন একটা ইয়র্কার যেটা ব্যাট থামাবে সাধ্য কী! তবে মুস্তাফিজুরের শোকেসের ব্রহ্মাস্ত্র হল সেই ডেলিভারিটা যেটা পিচে পড়ে থমকে গিয়ে ব্যাটসম্যানের সামনে লাফিয়ে ওঠে। আর বেশির ভাগ সময়ই ব্যাটসম্যান সেটা কভারের উপর দিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে ফেরে।’
‘এই বলটা করার সময় ওর বোলিং অ্যাকশনে কিন্তু কোনও পরিবর্তন হয় না। আসল খেলাটা থাকে ওর কব্জিতে। সবটাই বলটা ছাড়ার কায়দা।’
মাত্র ২০ বছর বয়সেই বড় তারকা হয়ে উঠেছেন মুস্তাফিজ। কিন্তু ঠিক সেরকমভাবে গড়ে ওঠেনি শারীরিক গঠন। এখনো মুস্তাফিজ রয়েছে কিশোর বয়সে। ওকে যত্ন নিয়ে পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলার তাগিদ দিলেন রবি শাস্ত্রী।
‘ছেলেটা কিন্তু এখনও শরীর আর মনের দিক থেকে কিশোরই, পুরুষ হয়ে ওঠা বাকি। শরীরটাও তাই পুরোপুরি শক্তপোক্ত হয়ে ওঠেনি। ওর মতো প্রতিভাকে কিন্তু খুব সাবধানে, বুঝেসুঝে ব্যবহার করতে হবে।’
রবী শাস্ত্রী মুস্তাফিজুরকে সাবধান করে বলেন, বাংলাদেশে আলোচনা হচ্ছে, মুস্তাফিজুর ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। অন্তত বোলারের ঘনিষ্ঠমহলের তেমনই দাবি। সুতরাং ওর মতো প্রতিভাকে খুব সাবধানে, বুঝেসুঝে ব্যবহার করার বিকল্প নেই। সাসেক্সে খেলার চেয়ে তার ফিটনেস ফিরে পাওয়া অনেক জুরুরি।
তিনি আরও বলেন এই মুহূর্তে মুস্তাফিজকে নিয়ে বেশি ঝুকি নেওয়া ঠিক হবেনা। আর তার নিজের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একবার বড় ইনজুরিতে পরে গেলে তার ক্যারিয়ারে অনেক বড় ধাক্কা লাগবে।
গো নিউজ২৪/এস কে
আরও পড়ুন