ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জুমার নামাজের প্রস্তুতি


গো নিউজ২৪ | গো নিউজ ডেস্ক প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০১৭, ১২:০৮ পিএম
জুমার নামাজের প্রস্তুতি

মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন জুমার দিন। এ দিনে মানুষ ইসলাম এবং নামাজের প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণবোধ করে। অথচ সপ্তাহের প্রতিদিনই জুমার দিনের মতো মসজিদে আসা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানের দাবি হওয়া উচিত ছিল। যাই হোক আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে জুমার দিনের মতো মসজিদে এসে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন।

জুমার দিনে রয়েছে কিছু সুন্নাত এবং মুস্তাহাব কার্যাদি। যা সম্পাদনের সঠিক সময় ও আনুষাঙ্গিক বিষয়াদি আমাদের অজানা। জুমার দিন নামাজের প্রস্তুতিমূলক ও প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো-

জুমার নামাজের বিধানের হিকমত
আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের ভালোবাসা ও মুহাব্বাত বৃদ্ধির লক্ষ্যে মহল্লার জামায়াতের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং শহরের জন্য জুমা এবং বাৎসরিক ঈদের নামাজ, বিশ্ববাসীর মহাসম্মিলনের জন্য মক্কা হজের ব্যবস্থা করেছেন। ইহা আল্লাহর হিকমত।

জুমার দিনের ফজিলত
সূর্য উদিত হয়েছে এমন দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন উত্তম। এ দিনে হজরত আদমকে সৃষ্টি করা হয়েছে। এ দিনেই তাকে জান্নাত দান করা হয়েছে। এ দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছে। এবং এ দিন ব্যতিত কিয়ামাত অনুষ্ঠিত হবে না।

জুমার নামাজের হুকুম
প্রত্যেক মুসলিম বালেগ, বিবেকবান, স্বাধীন, ঘর-বাড়ি বানিয়ে একটি জনপদে স্থায়ীভাবে বসবাস করে এমন পুরুষদের উপর দুই রাকাআত নামাজ পড়া ফরজ।

জুমার জন্য গোসলের সময়
জুমার নামাজের জন্য গোসল করা এবং নামাজে যাওয়ার মুস্তাহাব সময় শুরু হয় ফজরের পর থেকে শুরু হয়ে জুমার আজান পর্যন্ত। জুমার গোসল দেরি করে করা উত্তম।

নামাজে যাওয়ার উত্তম সময়
জুমার জন্য যাওয়ার উত্তম সময় শুরু হয় ফজর থেকেই। তবে ওয়াজিব সময় হলো ইমামের প্রবেশের পরে দ্বিতীয় আজানের সময়। মুসলিম ব্যক্তি সূর্য ওঠা থেকে ইমাম মসজিদ থেকে বের হওয়া পর্যন্ত সময়কে পাঁচ ভাগে ভাগ করে নেয়া। যার দ্বারা সে প্রতিটি মুহূর্ত জানতে পারবে।

জুমার দিন সফর
কোনো প্রয়োজন ব্যতিত দ্বিতীয় আজানের পর সফর করা বৈধ নয়। প্রয়োজন- সফরের সঙ্গীর চলে যাওয়া, পরিবহন চলে যাওয়া তা হতে পারে বাস-গাড়ি, জাহাজ, বিমান ইত্যাদি।

জুমার আজান
জুমার প্রথম এবং দ্বিতীয় আজানের মধ্যবর্তী সময় এমন হওয়া উত্তম যে, একজন মুসলিম যারা দূরে অবস্থান করে, ঘুমন্ত ও গাফেল তারা নামাজের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণপূর্বক জুমার আদব ও সুন্নাতগুলো আদায় করে নামাজের জন্য উপস্থিত হতে পারে।

জুমার নামাজের সময়
জুমার নামাজের উত্তম সময় হলো সূর্য ঢলে পড়া থেকে শুরু করে জোহরের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত। তবে সূর্য ঢলে পড়ার আগেও পড়া যাবে।

মাসবুক ব্যক্তির জুমা
যে ব্যক্তি ইমামের সঙ্গে এক রাকাআত জুমা পাবে, সে দ্বিতীয় রাকাআত পড়ে জুমার নামাজ পূর্ণ করবে। আর যে এক রাকাআতে চেয়ে কম পাবে অর্থাৎ দ্বিতীয় রাকাআতের রুকু পাবে না, সে জোহরের নিয়ত করবে এবং চার রাকাআত নামাজ আদায় করবে।

সুতরাং আল্লাহ তাআলা উপরোক্ত বিষয়গুলো যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

গো নিউজ ২৪

ইসলাম বিভাগের আরো খবর
তাবলিগের বিরোধটা আসলে কোথায়

তাবলিগের বিরোধটা আসলে কোথায়

ওয়াজ মাহফিল সরকারিভাবে মনিটরিংয়ের অনুরোধ

ওয়াজ মাহফিল সরকারিভাবে মনিটরিংয়ের অনুরোধ

নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ না করলে নামাজ হবে?

নামাজের নিয়ত মুখে উচ্চারণ না করলে নামাজ হবে?

আশুরার দিনে যে দুইটি আমল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

আশুরার দিনে যে দুইটি আমল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ

পবিত্র আশুরা ২৯ জুলাই

পবিত্র আশুরা ২৯ জুলাই

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান

‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাত ময়দান