বরের বয়স ছয়, আর কনের বয়স পাঁচ। দুইজনের মধ্যে প্রেম ছিল রীতিমতো। অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই দুজন। শেষ পর্যন্ত আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিয়েও করে ফেলল তারা। তবে শুনতে যতটা খুশির মনে হচ্ছে, পেছনের ঘটনাটা মোটেও ততটা খুশির নয়।
পাঁচ বছরের মেয়ে এইলেধ পিটারসন মস্তিষ্কের রোগ নিউরোব্লাস্টোমায় আক্রান্ত। এই রোগ প্রতিকারযোগ্য না। কখনোই সুস্থ হবে না এইলেধ। দিন দিন মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবে মেয়েটি। রোগ ধরা পড়ার পর তাকে বলা হয়েছিল পছন্দের পাত্র নির্বাচনের জন্য। এতে নিজের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছয় বছরের হ্যারিসন গ্রিয়ারকে নির্বাচন করে সে।
এই বয়সে না বুঝেই হয়তো নিজের বিয়ের কথা বলতো এইলেধ। সে জানেও না খুব বেশিদিন আর পৃথিবীতে থাকা হবে না তার। মৃত্যুর আগে মেয়ের বিয়ের ইচ্ছাটি পূর্ণ করে দিল তার মা-বাবা। বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিল তাদের কয়েকশ শুভাকাঙ্ক্ষী। অনেকেই এসেছিল শত শত মাইল দূর থেকে।
হ্যারিসনের বাবা বিলি গ্রিয়ার বলেন, ‘হ্যারিসন এর আগে কখনও কারও বিয়ে দেখেনি। তাই সব দিক থেকেই এটা তার জন্য নতুন। এটা ছিল অত্যন্ত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান। ও প্রত্যেকটি মিনিট উপভোগ করেছে। খুবই উৎফুল্ল ছিল। এইলেধের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর থেকেই ওরা ছিল অবিচ্ছেদ্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি- ও জানে, ও কী করছে। ও জানে এটা তার (এইলেধ) জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। এইলেধের জন্য ও সব করতে চায়।’ সব আনুষ্ঠানিকতা মেনেই এই শিশুযুগলের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
গো নিউজ২৪/ আরএস