ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি, ৩০০ কোটি টাকার ভোগ্যপণ্যের ক্ষতি


গো নিউজ২৪ | স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০১৭, ০৬:১০ পিএম আপডেট: জুলাই ২৬, ২০১৭, ১২:১০ পিএম
চট্টগ্রামে টানা বৃষ্টি, ৩০০ কোটি টাকার ভোগ্যপণ্যের ক্ষতি

টানা বৃষ্টি ও জোয়ারে তলিয়েছে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ। বিভিন্ন গুদামে পানি প্রবেশ করে নষ্ট হয়েছে কোটি কোটি টাকার পণ্য। গত তিন দিনে প্রায় ৯০ শতাংশ দোকান ও গুদামের ভোগ্যপণ্য নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রাথমিকভাবে তারা বলেছেন, প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

সম্প্রতি কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি ফটক দিয়ে দুই ফুট করে পানি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এতে করে কর্ণফুলী নদীতে বেড়েছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। আর গত তিনদিনে প্রায় তিনশ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বুধবার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, রাতে জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার পর থেকে পানিতে ভিজে যাওয়া পণ্য সামগ্রী শুকানোর প্রাণপণ চেষ্টা করছে ব্যবসায়ীরা। আজ হাল্কা রোদের দেখা পেয়েই তারা নেমেছে ভিজে নষ্ট হয়ে যাওয়া মালামাল উদ্ধারে। দোকানের সামনেই বস্তা বা প্লাস্টিকের চটে শুকাতে দেওয়া হয়েছে ভিজে নষ্ট হওয়া পণ্যগুলো।

ব্যবসায়ীরা জানান, মঙ্গলবার বৃষ্টি ও জোয়ারে মূল সড়কের কোথাও হাঁটু সমান, আবার কোথাও কোমর সমান পানি। জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পেতে তারা গুদাম ও দোকানের প্রবেশমুখে দুই ফুট উঁচু দেয়াল তুলে দেন। তবে স্রোতে সেই দেয়াল উপচে প্রবেশ করেছে পানি। অনেক ব্যবসায়ী দোকান ও আড়তের প্রবেশ মুখে পেঁয়াজ ও নানা ভোগ্যপণ্যের বস্তা দিয়ে প্রতিরক্ষা দেয়াল তৈরি করেন।

মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে,  মধ্যম চাক্তাই, নতুন চাক্তাই, চর চাক্তাই, পুরানো চাক্তাই, মকবুল সওদাগর রোড, আছদগঞ্জ, খাতুনগঞ্জের চান্দমিয়া গলি, ইলিয়াছ মার্কেট, বাদশা মার্কেট, সোনা মিয়া মার্কেট, আমির মার্কেট, নবী মার্কেট, চাক্তাই মসজিদ গলি, ড্রামপট্টি, চালপট্টি ও এজাজ মার্কেটসহ আশপাশের দোকান ও গুদামগুলো পানিতে সয়লাব। তবে সবচেয়ে বেশি পানি হয়েছে ইলিয়াছ মার্কেট ও নবী মার্কেটে।

এছাড়া শুঁটকিপট্টি, চামড়াগুদাম, চালপট্টি এলাকার দোকান ও গুদামগুলোতে পানিতে ভাসতে দেখা গেছে পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, হলুদ, চাল-ডালসহ নানা ধরনের পণ্য।

খাতুনগঞ্জের নবী মার্কেটের ব্যবসায়ী সজীব কুমার সিংহ বলেন, ‘এরকম পানি আর কখনো দেখিনি। জোয়ারের পানি যাতে গুদামে না ওঠে সেজন্য আমরা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছিলাম। তবে তা কোনো কাজে দেয়নি। আমার সব পণ্য মসলা জাতীয়। এই তিনদিনের পানিতে আমার অন্তত ৭৫ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তার ওপর গত তিনদিন ব্যবসা তো ছিলই না।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এনামুল হক জানান, এমনিতে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে ক্রেতা সংকট রয়েছে। তার ওপর জোয়ারের পানিতে ব্যবসায়ীদের কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমদ জানান, জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীতে তিনটি নতুন খাল খনন করার কথা ছিল। সেগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে নতুন প্রকল্পের বরাদ্দ দিতে হবে। সিটি কর্পোরেশন, বিদ্যুৎ বিভাগ, গ্যাস কর্তৃপক্ষ ,সিডিএ, বন্দর, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো নিয়ে একটি কো-অর্ডিনেশন সেল গঠন করতে হবে। বরাদ্দের টাকা যথাযথভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে কিনা তা দেখতে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। 

গো নিউজ২৪/এমবি
 

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর
৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল

৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল

১৪ বছর আগে একীভূত হয়েও এখনো ধুঁকছে যে ব্যাংক

১৪ বছর আগে একীভূত হয়েও এখনো ধুঁকছে যে ব্যাংক

রেড জোনে থাকা ‘বেসিক ব্যাংক’ যাবে কার সঙ্গে?

রেড জোনে থাকা ‘বেসিক ব্যাংক’ যাবে কার সঙ্গে?

বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বিদেশি ঋণ, পরিশোধ হবে যেভাবে

বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বিদেশি ঋণ, পরিশোধ হবে যেভাবে

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?