গণপরিবহনে গণনৈরাজ্যের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন বাংলাদেশ গণ-ঐক্য।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,বিআরটিসির আইনে সিটিং সার্ভিস বলে কিছু নেই কিন্তু বাসের মালিকরা স্থানীয় মালিক ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে যাত্রী হয়রানির এই ষড়যন্ত্রমূলক কাজটি নিয়মিত করে চলেছে। যার ফলে দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছে সাধারণ মানুষগুলো। এ ব্যাপারে সরকার ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষের লক্ষণীয় কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে নগরীর পরিবহন ব্যবস্থায় চলছে সবচেয়ে ভয়াবহ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি। অধিকাংশ বাসে সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে চিটিংবাজী।
ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোন যানবাহন পাওয়া যায় না। মহিলা যাত্রীদের পক্ষে ভদ্রোচিতভাবে যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ন্ত্রীনহীনভাবে বাড়ছে। যত্রতত্র প্রাইভেট গাড়ি পার্কিং করায় ফুটপাত দিয়ে হেঁটে চলাচলও কঠিন হয়ে পড়েছে, বেড়ে গেছে দূর্ঘটনা।
তারা বলেন,গণপরিবহনে আরেকটি বড় সমস্যা গাড়ির আকারের তুলনায় অধিক পরিমাণ সিট রাখা। বিআরটিএ অনুমোদিত সিটের চেয়ে বেশি সিট রাখায় যাত্রীদের বসতে কষ্ট হয়। চালকসহ ৩১ সিটের বাসে বহন করা হয় ৫০ জনের অধিক যাত্রী। এ ছাড়া প্রতিটি বাসেই নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সিট বরাদ্দের কথা থাকলেও বিআরটিসি ছাড়া অধিকাংশ বাসে এ নিয়ম মানা হয় না। এসব বাসে বসে থাকেন পুরুষ যাত্রীরা।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আরমান হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন-জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন,সহ-সভাপতি নাজমুল হোসেন রনি,গণতন্ত্র রক্ষা মঞ্চের সমন্বয়ক মনোয়ার হোসেন বেগ,সংগঠনের নেতা সিরাজুল ইসলাম,ফারুক হোসেন প্রমুখ।
