প্রতিবেশী দেশ হওয়াতে ভারত ক্রিকেট দলের প্রতি আলাদা ভালোবাসা কাজ করে বাংলাদেশিদের। কিন্তু তাদের আচরণের কারণে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন অনেক বাংলাদেশি। অনুরাগ প্রত্যাহারকারীদের দলে শরিক হয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমও।
ব্রিটেনের অ্যাজবাস্টনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ চলাকালীন এবং ম্যাচের পরে ভারতীয় দর্শকদের অশালীন আচরণে রীতিমত ক্ষুব্ধ তিনি।
সেমিফাইনাল চলাকালে মাঠে দর্শক হিসেবে ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তিনি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনায় আসার পূর্ব পর্যন্ত ইন্ডিয়া ছিলো আমার পছন্দের সেরা দল। এমনকি এখনও বাংলাদেশ কোনো খেলা থেকে ছিটকে পড়লে ইন্ডিয়াকেই সমর্থন করি। কিন্তু আজকে খেলার মাঠে ইন্ডিয়ার সমর্থকদের আচরণটা মনে দাগ কেটেছে। আমার মনে হয়েছে ইন্ডিয়া তার চিরশত্রুর সাথে খেলছে।’
নাজমুল আরও লেখেন, ‘সবচাইতে কষ্ট পেয়েছি বাঘের একটা প্রতিকৃতির লেজ ধরে একজন টান দিয়ে নিয়ে তাচ্ছিল্য করছিল, তখন তাকে থামিয়ে দিয়েছিলাম। আরও অনেক ঘটনা বিস্তারিত কিছু বলব না। অনেকে আবার ভিন্ন ব্যাখ্যা দিবেন। এমনকি তাদের দলপতির (বিরাট কোহলি) আচরণ ভালো লাগেনি। পাকিস্তানকে জীবনে সমর্থন করিনি, করবও না। তবে হয়তো আর ইন্ডিয়ার বিজয় দেখার অপক্ষায়ও থাকব না। লাভ ইউ অনলি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।’
সিদ্দিকী নাজমুল আলমের ফেসবুক পোস্টে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ২১ হাজার মানুষ তাদের সম্মতি জানিয়েছে। ক্রিকেট এবং অন্যান্য বিষয়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে শত শত মন্তব্য জমা পড়েছে। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে পাঁচ শতাধিক।
সালাউদ্দিন নামে একজন মন্তব্যকারী বলেছেন, এর পরেও যারা ভারতকে সাপোর্ট করবে তাদেরকে ভারতে গিয়ে সাপোর্ট করা উচিত বাংলার মাটিতে বসে নয়।
মোস্তফা নামের একজন মন্তব্যকারী বলেন, ‘কৌটিল্য বেঁচে থাকলে তাঁর কূটনীতি ও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে আচরণ বিষয়ক মতবাদ প্রত্যাহার করে নিতেন। পাকিস্তান, নেপাল, চীনকে তারা যেভাবে দেখে, বাংলাদেশের সাথেও তারা সে রকম আচরণ শুরু করে দিয়েছে। অথচ তাদের এটা সবচেয়ে বেশি ভাবা উচিত ছিল যে, বহির্বিশ্বে তাদের বাংলাদেশের চেয়ে বড় বন্ধু নাই। আমরা বন্ধু আছি, থাকবে। তবে একতরফা ভালোবাসা বেশি দিন টিকে না।’
গো নিউজ২৪/এআর