ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

কেমন ছিল অভাগী এই অভিনেত্রীর ঈদ


গো নিউজ২৪ | দিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০১৭, ০৯:৫০ পিএম
কেমন ছিল অভাগী এই অভিনেত্রীর ঈদ

একটা সময় মাতিয়ে রেখেছিলেন সিনেমা হলের ঝিলিমিলি পর্দা। ‘সোহরাব-রুস্তম’ চলচ্চিত্রে ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটেছিল তার। 

এরপর নেশা, মহাভূমিকম্প, প্রেম বিসর্জন, ভাগ্যের পরিহাস ইত্যাদী চলচ্চিত্রে একনাগাড়ে অভিনয় করেন।  এই অভাগী শাহিনা সিকদার বনশ্রী। তাকে ‘অভাগী’বলার কারণগুলো হলো-

প্রথমত, চলচ্চিত্র থেকে মুছে যাওয়ার পর আর্থিক অনটনে পড়ে জীবিকার সন্ধানে শেষমেস পথেও নামতে হয়েছিল তাকে! শাহবাগে ফুল বিক্রি করেও কোনোমতে দেহের ভেতর প্রাণটাকে আগলে রেখছেন দীর্ঘদিন। 

দ্বিতীয়ত, জীবনসঙ্গী স্বামীও ছেড়ে গিয়েছেন তাকে। 

তৃতীয়ত, বনশ্রীর ভাষ্যমতে তার বড় মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়েছেন দুর্বৃত্তরা। থানা পুলিশ, এফডিসি, সাংবাদিক মহলের দ্বারস্থ হয়ে কেঁদে কেটে একাকার করলেও- তার আদরের ধন নয়নের পুত্তুলি মেয়েটি দীর্ঘ এক যুগ পরেও তার বুকে ফেরত এনে দিতে পারেনি কেউ।

বর্তমানে বেঁচে আছেন তার ছোট ছেলে ‘মেহেদী হাসান’কে নিয়ে। ছেলে কেবল পড়ছে প্লে শ্রেণিতে। তার এই বেহাল দশা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানে পৌঁছুলে, তিনি তাকে ভাতার ব্যবস্থা করে দেন। বর্তমানে ২১ হাজার চারশ টাকা করে মাসিক ভাতা পান তিনি।

আদাবরে পাখির বাসার মতো একরুমের ছোট একটি বাড়ির একটি কক্ষে মাসিক সাত হাজার টাকা ভাড়ায় কোনোমতে মাথা গুঁজে বসবাস করছেন বনশ্রী ও তার ছেলে মেহেদী।

তার চোখে মুখে হতাশার ছাপ। জরাজীর্ণ দেহে বার্ধক্যের অধিগ্রহণ। ঘরের আসবাব বলতে একটি খাট আর একটি মান্ধাতা আলনা। ক্লান্ত দেহে ‘প্রিয়.কম’এর প্রতিনিধির পাশে এসে বসলেন ঐ খাটেই। বসতে বসতেই বলছিলেন- ‘শরীরে ঠিক কী হয়েছে জানি না। আসলে মেয়েটা হারিয়ে যাওয়ার পর আমার শরীর খারাপের দিকেই যাচ্ছে’।

ডাক্তার দেখাচ্ছেন না কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বললেন- ডাক্তার দেখাই তো। সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি হাসপাতালে আমাকে চিকিৎসা সেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে’। 

বোঝা গেল, তার ক্ষয়িষ্ণু জীবনের মূল অবক্ষয় যতটা না শরীরে, তারচেয়েও বেশি মনে। স্বামী-সন্তান হারানোর শোক তার চোখের অশ্রু রূপে সাক্ষ্য দিচ্ছিল দুঃস্বপ্ন মাখা দুই চোখের চার পাতায়। ঈদ উপলক্ষে ঘটা করে শপিং করা হয়নি। ছেলেকে কিনে দিয়েছেন ছেলের পছন্দ মতো স্পাইডারম্যানের পোশাক। ঈদ উপলক্ষে হাতি ঘোড়াও উঠেনি তার উনুনে। ভাইয়ের বাসায় গিয়ে ভালো মন্দ খাবেন দুপুর বেলায়। ভাইকে বলা আছে।

এক সময়ের জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা বনশ্রীর আজ এই বেহাল দশা! হায় রে জীবন!  প্রাপ্ত সরকারি ভাতার থেকে চারশ টাকা করে ব্যাংকে গছিত রাখেন। সন্তানের পড়াশোনা বাবদ খরচ হয় মাসিক দুহাজার টাকা। ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বাবদ কেবল খাওয়ার জন্য অবশিষ্ট থাকে ১০ হাজার টাকা। তা দিয়ে কি খাওয়া দাওয়া চলছে?

উত্তরে বনশ্রী বলেন- হ্যাঁ, খাবার খরচ চলে যায়। কিন্তু খাওয়ার বাইরে জীবনের অন্যান্য কিছুর পেছনে আর খরচ জোটে না। ঘুরে ফিরে তার মেয়ের কথাই বলে চললেন এই হতভাগ্য শিল্পী। 


গো নিউজ২৪/এএইচ

বিনোদন বিভাগের আরো খবর
বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

বুকটা ফেটে যায় কষ্টে: মাহিয়া মাহি

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে মরিয়া যেসব অভিনেত্রী

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

পরকীয়া এবং ফাঁদে পড়া নিয়ে মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

দেড় মাসে ওজন অনেকটা কমিয়ে ফেলেছেন শাবনূর

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

এই ফিটনেসে ভক্তদের খুশি করাতে পারবেন শাবনূর?

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী

কাজ নেই অথচ ঘন ঘন বিদেশ ভ্রমণ, এতো টাকা কোথায় পান এই অভিনেত্রী