মাঠের খেলায় প্রতিপক্ষকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না বিরাট কোহলি। দল হিসেবে ভারতও এখন ভীষণ মনোযোগী। অনুশীলনে নিজেদের পুরোটা ঝালিয়ে নিতে কোহলি মতোই একাগ্রতা দেখাতে চায় পুরো দল। সে লক্ষ্যে ভারতীয় ক্রিকেটাররা এখন ডিএনএ টেস্ট করাচ্ছেন। এতে করে একজন ক্রিকেটারের গতি, পেশিশক্তি, চোট সামলে ওঠার ক্ষমতা বাড়ে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত মেদ ঝরানো সহজ হয়।
দলের ট্রেনার শংকর বসুর পরামর্শেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় দল। এর আগে এনবিএ (বাস্কেটবল) ও এনএফএল (আমেরিকান ফুটবল) লিগের খেলোয়াড়দের এই টেস্ট করানো হতো। বিসিসিআইয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি ক্রিকেটারের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ২৫ থেকে ৩০ হাজার রুপি খরচ করা হয়।
শুরুতে স্কিনফোল্ড টেস্ট করানো হতো। কিন্তু শরীরে মেদের পরিমাণ নির্ণয়ে এর ফলাফল নিখুঁত না হওয়ায় ডেক্সা টেস্ট করানো শুরু হয়। সেই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ মেদ ধরে রাখতে ডিএনএ টেস্ট খুব কাজে আসে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের শরীরে ২৩ শতাংশের বেশি পরিমাণে মেদ রাখা হয় না। অনেক খেলোয়াড়ই কঠোর পরিশ্রমের পরও শরীরে মেদের পরিমাণ কমাতে পারেন না। এই সম্পর্কে বিসিসিআইয়ের সেই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘টেস্ট শুরু হওয়ার পর খেলোয়াড়েরা সমস্যাগুলো জানতে পেরেছেন। কারও হয়তো দুধ খেলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কেউবা কাচ্চি বিরিয়ানি পছন্দ করে অথচ ছাগলের মাংস তার শরীরে সইছে না।’
সমস্যাগুলো জানতে পারায় সে অনুযায়ী খাদ্যতালিকা তৈরি করে ফিটনেসের উন্নতি করেছেন ধোনি-কোহলিরা।
এই টেস্ট যে কতটা কার্যকর, তার সেরা উদাহরণ সম্ভবত ভুবনেশ্বর কুমার। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর থেকে ১৯টি ওয়ানডে আর ৭টি টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন তিনি। আর এটা সম্ভব হয়েছে শরীরের উপযোগী খাদ্যতালিকা মেনে চলার কারণে। এই টেস্টের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে শংকর বসু একটি খাদ্যতালিকা এবং অনুশীলন করার চার্ট বানিয়ে দেন। সেটা মেনে চলেই দুর্দান্ত শারীরিক সক্ষমতার প্রমাণ রাখছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা।
ভারতীয় ক্রিকেটের এই নতুন সংযোজন বাকি দেশগুলোর জন্যও হতে পারে উদাহরণ। সূত্র: জিনিউজ।