ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কেঁচো সারে সফল নারীর গল্প


গো নিউজ২৪ | ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন, ভোলা প্রতিনিধি  প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭, ০৫:১০ পিএম আপডেট: ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭, ১১:১০ এএম
কেঁচো সারে সফল নারীর গল্প

ভোলার লালমোহন উপজেলার গজারিয়ার নমগ্রাম স্বামীর ১০ শতাংশ ভিটেতে পরিবার নিয়ে বসবাস।  পেশায় গৃহিনী বন্ধনার মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন বছর দুয়েক হলো, দু-ছেলে দশম ও চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ছেন। স্বামী-পবিত্র মাঝি পেশায় কৃষক।

নগদ টাকায় বন্ধকী জমি রেখে চাষাবাদ করেই সংসার চালান। রবি মৌসুমে বাদাম, ডাল, কলাই, মরিচ, আলু সহ বিভিন্ন রবি শস্য চাষাবাদ করেন। সংখ্যালঘু গ্রামটিতে অনেকেই পানের চাষ করেন। এলাকাটি সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত, সেই সুবাধে জৈব সারের সাথে পরিচিত কম বেশ সকল কৃষকই। 

জৈব সারের মধ্যে গোবর সারই বেশী এবং পানের বরজে সরিষা খৈল ব্যবহার হয়। জেলার কোন জায়গায় কেঁচো সার ক্রয় বা বিক্রয় হতো না।

কোস্ট ট্রাস্ট বোরহানউদ্দিন শাখার অধীনে ২০১৪ সালে গ্রামটিতে ২৫ জন সদস্যাকে কেঁচো সার উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। জয়পুরহাট হতে কেঁচো সংগ্রহ করে ওসমানগঞ্জ গ্রামের বিনু বেগমের বাড়ীতে একটি প্রদর্শনী খামার করা হয়। বন্ধনার আগ্রহ দেখে তাকে হাতে কলমে কেঁচো সার উৎপাদনের কৌশল শিখানো হয়। ২০১৪ সাল থেকে এ যাবৎ বন্ধনার উৎপাদিত খামার হতে ৪০ হাজার টাকার সার বিক্রয় করা হয়।

জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষক তার খামার হতে সার সংগ্রহ করে। তরমুজ, বাদাম, আলু, মরিচ, গম, কলাই, পান সহ বিভিন্ন সবজি চাষে এ সার ব্যবহার হচ্ছে। বন্ধনার নিজের জমিতেও তার উৎপাদিত সার জমিতে ব্যবহার করছেন। 

একই গ্রামের পানচাষী নিলীমা রানী জানান, পানে জৈব সার হিসাবে সরিষার খৈল ব্যবহার হয়। ২০১৫ সালে পান ক্ষেতে প্রথমে খৈলের সাথে অল্প পরিমান কেঁচো সার ব্যবহার শুরু করি। এখন অর্ধেক খৈল আর অর্ধেক কেঁচো সার ব্যবহার করছি ফলে পানের লতা, পাতা এবং শিকড় বেশ পুক্ত। খরচ অর্ধেক কমে গেল লাভ বেশী।

তাছাড়া দীর্ঘদিন কেঁচো সার ব্যবহারের ফলে মাটির জীবন পুনরুদ্ধার হয়ে মাটি হয়েছে উর্বর। বন্ধনা রানী বলেন, মাত্র ৩০০ টাকা রিং আর ২০০ টাকার কেঁচো দিয়ে তার খামার শুরু। বর্তমানে খামারে প্রায় কয়েক লক্ষ কেঁচো রয়েছে। পরিবারের অন্যান্য কাজের ফাঁকে বা অবসর সময়ে এ কাজ করা সম্ভব। অভিজ্ঞতা বাড়লে বেশী সার সংগ্রহ করা যায় এবং কেঁচোর মৃত্যুর হার কমে ও বংশবিস্তার বাড়ে।

গো নিউজ২৪/এবি


 

অর্থনীতি বিভাগের আরো খবর
৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল

৫৯৫ টাকা কেজি দরে দিনে ১ কোটি টাকার গরুর মাংস বিক্রি করেন খলিল

১৪ বছর আগে একীভূত হয়েও এখনো ধুঁকছে যে ব্যাংক

১৪ বছর আগে একীভূত হয়েও এখনো ধুঁকছে যে ব্যাংক

রেড জোনে থাকা ‘বেসিক ব্যাংক’ যাবে কার সঙ্গে?

রেড জোনে থাকা ‘বেসিক ব্যাংক’ যাবে কার সঙ্গে?

বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বিদেশি ঋণ, পরিশোধ হবে যেভাবে

বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে বিদেশি ঋণ, পরিশোধ হবে যেভাবে

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

৫ বছর মেয়াদি সুকুক বন্ড বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?

বেসিক ব্যাংক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে?