ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কিছু মেয়েদের দাড়ি গোঁফ গজানোর কারণ


গো নিউজ২৪ | লাইফস্টাইল ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২০, ২০১৭, ০২:৪১ পিএম আপডেট: মে ২০, ২০১৭, ০৮:৪১ এএম
কিছু মেয়েদের দাড়ি গোঁফ গজানোর কারণ

মেয়েদের দাড়ি গোঁফ গজানোর কারণ একটাই - টেস্টোস্টেরনের মাত্রাতিরিক্ত নিঃসরণ। আজকাল অনেক মহিলার শরীরে টেস্টোস্টেরন নিঃসরণ হয় বেশি। টেস্টোস্টেরন পুরুষদের সেক্স হরমোন। 

মহিলাদের শরীরেও নিঃসরিত হয়, কিন্তু খুব কম পরিমাণে। মহিলাদের সেক্স হরমোন এস্ট্রোজেন। এস্ট্রোজেনের নিঃসরণ কমে গেলে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যায়। 

ফলে পুরুষদের মতো হাবভাব, যেমন ভারী আপার লিপ, গালে, থুতনিতে রোম, হাতে-পায়ে ঘন রোম দেখা দিতে শুরু করে। কিছু মহিলার কণ্ঠস্বরও ভারী হয়ে যায় এই কারণে।

তবে, কিছু জাতিগোষ্ঠীতে স্বাভাবিকভাবেই নারীদের দাড়ি-গোঁফের মতো পুরুষালি চুল থাকে। যেমন- দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া, পূর্ব ইউরোপ এবং দক্ষিণ ইউরোপের কিছু অঞ্চল, অন্যদিকে এশিয়ান এবং ভারতীয়দের শরীরের এসব স্থানে চুল কম গজায়। তবে ৪.৭% ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ কারণ ছাড়াই হার্সুটিজম হতে পারে।  
  
হার্সুটিজম সাধারণত মেয়েদের শরীরে ডিম্বাশয় বা এড্রেনাল গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত এন্ড্রোজেন হরমোন (যেসব হরমোন পুরুষালি বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী) নিঃসরণের কারণে হয়ে থাকে। ৭০-৮০% ক্ষেত্রে হার্সুটিজম আক্রান্ত নারীদের রক্তে এন্ড্রোজেন হরমোন বেশি থাকে এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ই এ অতিরিক্ত এন্ড্রোজেনের উৎস।  
  
ডিম্বাশয়ের কিছু রোগ, যেমন- পলিসিস্টিক ওভারী সিন্ড্রোম, হাইপার ইন্সুলিনিজমিক হাইপার এন্ড্রোজেনিজম উইথ এন অভুলশন, ওভারি বা এড্রেনাল গ্রন্থির কিছু টিউমার বা ক্যান্সারের কারণেও এন্ড্রোজেন হরমোন নিঃসরণ বেড়ে হার্সুটিজম হয়। এড্রেনাল গ্রন্থির রোগের মধ্যে কনজেনিটাল এড্রেনাল হাইপারপ্লাসিয়া, এড্রেনাল এডেনোমা, কার্সিনোমা ইত্যাদি।  
  
এ ছাড়া পিটিউইটরি গ্রন্থির রোগ যেমন- কুশিং ডিজিজ, এক্রোমেগালি ইত্যাদি। কিছু ওষুধ গ্রহণের ফলেও এমন সমস্যা হতে পারে, যেমন- মিনক্সিডিল, কর্টিকোস্টেরয়েড, ফিনাইটইন, ডায়াজক্সাইড ইত্যাদি। 

শরীরে অতিরিক্ত চুলের অন্য একটি কারণ হচ্ছে হাইপারট্রাইকোসিস (Hypertrichosis), যাতে এন্ড্রোজেনের প্রভাববিহীন দাড়ি-গোঁফ ছাড়াও সব শরীরেই পাতলা চুল বা লোম গজায়।  
  
এটা কিছু রোগের কারণে হয়, যেমন- জন্মগত কিছু রোগ, পরফাইরিয়া, হাইপোথাইরয়েডিজম, এপিডার্মোলাইসিস বুলোসা, ডার্মাটোমাইয়োসাইটিস, পুষ্টিহীনতা ইত্যাদি। হার্সুটিজম রোগের সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য এর ইতিহাস এবং শারীরিক পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। যেসব ক্ষেত্রে হার্সুটিজম স্থির থাকে অর্থাৎ নতুন করে দাড়ি-গোঁফ গজায় না সে ক্ষেত্রে কোনো প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার দরকার নেই। 

যাদের হার্সুটিজমের সঙ্গে পুরুষালি লক্ষণ (Viriliation) থাকে এবং তা দ্রুত বাড়তে থাকে সে ক্ষেত্রে হার্সুটিজমের কারণে টিউমার বা ক্যান্সার হওয়ার আশংকা বেশি।


গো নিউজ২৪/এএইচ

লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর
বিয়ে-বিচ্ছেদ বেড়েছে খুলনার মেয়েদের, কম বরিশালের

বিয়ে-বিচ্ছেদ বেড়েছে খুলনার মেয়েদের, কম বরিশালের

৪ মাসে একবার বিছানার চাদর কাচেন ব্যাচেলররা: গবেষণা

৪ মাসে একবার বিছানার চাদর কাচেন ব্যাচেলররা: গবেষণা

ডেঙ্গু আক্রান্তরা যে কারণে ডাবের পানি পান করবেন

ডেঙ্গু আক্রান্তরা যে কারণে ডাবের পানি পান করবেন

বাংলাদে‌শিদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে নেপাল

বাংলাদে‌শিদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে নেপাল

গর্ভাবস্থায় কী কী খাবার খেলে আপনার সন্তান হবে মেধাবী ও বুদ্ধিমান!

গর্ভাবস্থায় কী কী খাবার খেলে আপনার সন্তান হবে মেধাবী ও বুদ্ধিমান!

ডেঙ্গু সম্পর্কিত যেসব ভুল তথ্য এড়িয়ে যাবেন

ডেঙ্গু সম্পর্কিত যেসব ভুল তথ্য এড়িয়ে যাবেন