বিচিত্র এই পৃথিবীতে কত বিচিত্র লোক আছে তা কেউ হিসেব করে শেষ করতে পারবে না। বিচিত্র এ নিউজগুলো অনেকই জানেও না। তেমনি কয়েকজন বিচিত্র নারীকে নিয়ে এই আয়োজন।
ভ্যালেরিয়া লুকিয়ানোভা:
‘জীবন্ত বার্বি ডল’ হিসেবে খ্যাত এই ইউক্রেনিয়ান মডেলের ছবি দেখলে আচমকা একেবারে বার্বি পুতুল বলেই মনে হতে পারে। অজস্র প্লাস্টিক সার্জারি, কনট্যাক্ট লেন্স এবং যথাযথ মেক-আপের মাধ্যমেই নিজেকে অবিকল বার্বি পুতুলের মতো সাজিয়ে তোলেন ভ্যালেরিয়া।
জ্যোতি আমগে :
ভারতীয় এই নারী পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম মানবী। তাঁর উচ্চতা মাত্র ৬৩ সেমি। অ্যাকোন্ড্রোপ্ল্যাজিয়া নামের একটি হরমোন-ঘটিত রোগের কারণেই জ্যোতির উচ্চতা এত কম। মার্কিন হরর শো ‘ফ্রিক শো’-তে ১৩ অগস্ট ২০১৪-তে ‘মা পেটিট’ রূপে দেখা গিয়েছিল জ্যোতিকে। অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতিও অর্জন করেন তিনি।
অ্যাবিগেল এবং ব্রিটনি হেনসেল :
ইনি বা এঁরা হলেন দুই মাথা সম্পন্ন মহিলা। এঁরা আদপে যমজ। কিন্তু গর্ভাবস্তা থেকেই এঁরা এক শরীর এবং দুই মাথা নিয়ে বড় হচ্ছেন। অ্যাবিগেল এবং ব্রিটনি জন্মগত ভাবে মার্কিন।
বার্মিজ আদিবাসী নারীরা :
মিয়ানমারের প্যাডাং বা কারেনি উপজাতির মহিলাদের গলা অস্বাভাবিক রকমের দীর্ঘ হয়। কপারের প্যাচাঁনো তারের বিশেষ অলঙ্কার গলায় বসিয়ে ছোটবেলা থেকেই কৃত্রিম উপায়ে তাঁদের গলার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা হয়। এই উপজাতির অন্তর্ভুক্ত এমন মহিলাও রয়েছেন, যাঁর গলাটাই প্রায় এক ফুট লম্বা।
জুলিয়া নিউস :
এই মার্কিন নারী শরীরের ৯৫ শতাংশই ট্যাটু দিয়ে ঢেকে ফেলেছেন। পরফিরিয়া নামের এক ধরনের চর্মরোগকে গোপন করার জন্যই ট্যাটুর রাস্তা বেছে নেন জুলিয়া।
মিকেল রুফিনেলি :
ইনি হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যাপ্ত নিতম্বের অধিকারিণী। ১৯০ কেজি ওজনের এই মহিলার নিতম্ব ৮ ফুট চওড়া।
অ্যানেটা ফ্লোরসাইক :
পোল্যান্ডের এই তরুণীকে পৃথিবীর সবচেয়ে বলশালী নারী বলে মনে করা হয়। অ্যানেটা ‘ওয়ার্ল্ডজ স্ট্রঙ্গেস্ট উওম্যান’ প্রতিযোগিতা জিতেছেন চার বার। তাঁর চেয়ে বেশি বার এই খেতাব আর কেউই পাননি। অ্যানেটা অনায়াসে একটা ফ্রাইং প্যান দু’হাতে দুমড়ে পাঁপড়ের মতো গুটিয়ে ফেলতে পারেন।
ম্যান্ডি সেলার্স :
ইনি হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পায়ের অধিকারিনী। জিনঘটিত রোগের কারণেই তাঁর দু’পায়ের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। ম্যান্ডির গোটা শরীরের ওজন ১৩৩ কেজি। তার মধ্যে তাঁর দু’টি পায়ের ওজনই ৯৫ কেজি। সূত্র: ইন্টারনেট
গো নিউজ২৪/এবি