দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের আগে নিজেদের শেষবারের মত ঝালিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামে বাংলাদেশ। ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। প্রথমদিনে ৭৪.১ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা দেন বাংলাদেশ।
টাইগারদের লড়াকু স্কোর টপকাতে প্রথমদিনেই দলীয় ২১ রানের মাথায় উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ। এরপর ২১ রানেই দিন শেষ করে তারা।
এরপর দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ফের বিপদে পড়ে আফ্রিকা একাদশ। দলীয় ২৫ রানের মাথায় টাইগার পেসার শুভাশীষের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন এয়াছিন ভালি। সেই ক্ষত ভালো না হতেই ফের ৩৬ রানের মাথায় তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে আফ্রিকার। উইকেটটি তুলে নেন শফিউল ইসলাম।
এ প্রতিবেদন লিখা ২৫ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৮২ রান।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। এছাড়া ইনিংস ঘোষণার আগে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাব্বির রহমান। তিনি ৫৮ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস ঘোষণা করেন। তার সঙ্গে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন তাসকিন আহমেদও।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় টস জিতে ব্যাট করতে নামার কিছুক্ষণ পরই রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। এরপর সৌম্য সরকারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ইমরুল কায়েস। তারা দুজন দলীয় স্কোরকে ৮৪ রান পর্যন্ত টেনে নেন। এরপর ইমরুল কায়েস ৩৪ রান করে আউট হন। দলীয় ৯২ রানের মাথায় সৌম্য সরকারও ফিরে যান। যাওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৩টি রান।
এরপর তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন মুশফিক ও মুমিনুল। তারা দুজন ১১৯ রানের জুটি গড়েন। এরপর দলীয় ২১১ রানে আউট হন মুমিনুল হক। যাওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। যেখানে ৯টি চারের মার ছিল। এরপর দ্রুত চারটি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ২১১ রান করা বাংলাদেশ মুহূর্তেই ৬ উইকেটে ২২০ হয়ে যায়। সেখান থেকে সাব্বির রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ দলীয় স্কোরকে টেনে নেন ২৭২ রান পর্যন্ত। এরপর ব্যক্তিগত ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন মিরাজ। এরপর ইনিংস ঘোষণার আগ পর্যন্ত তাসকিন আহমেদকে নিয়ে ক্রিজে থাকেন সাব্বির রহমান।
বল হাতে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট একাদশের মাইকেল কোহেন একাই ৪টি উইকেট নেন।
গোনিউজ২৪/এআর
