ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার প্রেমের টানে চাঁদপুরে এলো ভিয়েতনামী তরুণী


গো নিউজ২৪ | জেলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০১৭, ০৬:০৫ পিএম আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০১৭, ১২:০৫ পিএম
এবার প্রেমের টানে চাঁদপুরে এলো ভিয়েতনামী তরুণী

এবার প্রেমের টানে বাংলাদেশে এলেন ভিয়েতনামী তরুণী। প্রেমিক চাঁদপুরের যুবক আলমগীর। বয়স ৩৫। প্রেমিকা টিউ থিতু। বয়স ৩০। ভালোবেসে এরইমধ্যে সংসারও পেতেছেন তারা।

ভিয়েতনামী এই কন্যা বাংলাদেশি যুবক আলমগীরকে ভালোবেসে এদেশে সংসার পেতেছেন। ভালোবাসার সূচনা মালয়েশিয়ায় হলেও প্রেমিক যুগল এটিকে বাস্তবে রূপ দিতে ছুটে আসেন দেশের বাড়িতে।

মানুষের বিড়ম্বনা এড়াতে দীর্ঘদিন থাকেন তারা লোক চক্ষুর আড়ালে। সম্প্রতি প্রেমিক যুগল তাদের এলাকায় রাস্তায় ঘুরে উপস্থিতি জানান দিলে উৎসুক মানুষ ও গণমাধ্যম কর্মীরা খুঁজতে থাকেন হ্যানয় টু শাহরাস্তির প্রেমকাহিনী।

শাহরাস্তি উপজেলার পৌর শহরের ৮ নং ওয়ার্ডের লদের বাড়ির মৃত মোবারক হোসেনের ছেলে মো. আলমগীর   হোসেন ১০ বছর আগে জীবিকার প্রয়োজনে মালয়েশিয়ায় জোহরবারুতে পাড়ি জমান। সেখানে চাইনিজ কোম্পানি  মিতরিয়া-এসটিএ-১তে চাকরি জুটিয়ে নেন। এভাবে দেশ-বিদেশ মিলে চলতে থাকে তার জীবন।

আলমগীরের বাড়িতে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, তার মা খোদেজা বেগম (৪৫) পুত্রবধূ টিউ থিতুকে নিয়ে আনন্দে রয়েছেন। শাশুড়ির কথা বলার ইশারা পেয়ে, মিষ্টিভাষী পুত্রবধূ টিউ থিতু ইংরেজিতে হ্যানয়-ঢাকা-শাহরাস্তি পর্যন্ত আসার প্রেমগল্প শুরু করেন।

টিউ থিতু জানান, ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে বাকান থানার ওয়েন তোং মহল্লায় তার জন্ম। সেখানে বাবা মৃত চি ইউ তাই (৯০) মা টিউ থিতু নিয়াত (৭৫) ও ৪ ভাই, ৩ বোনের মাঝে থেকে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা শেষ করেন তিনি।

এরপর একসময় বড় দুই ভাই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এতে পরিবারটিতে নেমে আসে চরম অভাব ও হতাশা। তখনই সবার আদরের ছোট মেয়ে থিতু পাড়ি জমান মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে।

সেখানে ২০০৬ সালে চাইনিজ ইলেকট্রনিক কোম্পানি মিতরিয়া এসটিএ-২তে সি এম এম পদে ১ হাজার ৭ শত রিংগিত বেতনে যোগ দেন। আলমগীর আর থিতুর ফ্যাক্টরি পাশাপাশি হওয়ায় দুজনার দেখাদেখি হতো।

এ দেখাদেখির এক পর্যায়ে দুজন একে অপরকে ভালোবেসে ফেলেন। ওই ভালোবাসার প্রথম কথা হয় ২০১৬ সালের মে মাসে। এ কথা বলাবলি প্রেমের গভীরতা যেন একদমই সই ছিল না।

ওই শুভ কাজ সারতে টিউ থিতু ইসলাম ধর্মগ্রহণ করে নুর আমিনা নাম পরিবর্তন করেন। জুন মাসে তারা বসে পড়েন বিয়ের পিঁড়িতে। এভাবে চলতে থাকে দুজনার সংসার।

কিছু দিন গড়াতেই আমিনা বুঝতে পারেন তিনি মা হতে চলেছেন। সমস্যা ঘটে এদেশে বাচ্চা হলে অনেক রিংগিত দিতে হবে মালয় সরকারকে। ওই টাকার চাপ সামলাতে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর তারা ঢাকায় অবস্থান নেন।

সেখানে দীর্ঘদিন থাকার পর সম্প্রতি গ্রামের বাড়ি শাহরাস্তিতে ফিরে আসেন। আসার দিন হাজার হাজার মানুষ বিদেশি বউকে একনজর দেখতে ভিড় জমায়।

চলতি বছরের ১৭ মার্চ তিনি ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। তার ওই ১ মাস বয়সী বাচ্চার নাম আবিদ হাসান শিহাব। এদিকে স্বামী আলমগীর গত ২৭ মার্চ জীবিকার প্রয়োজনে মালয়েশিয়া উড়ে যান।

আমিনা জানান, তিনি মূলত চাইনিজ খাবারে অভ্যস্ত। এরপরও বাংলা খাবার মানিয়ে খাচ্ছেন, পানি হিসেবে মিনারেল ও নাস্তা বলতেই ফলমূল মুখে তুলছেন। তার বড় সমস্যা ভাষা। পরিবারের অন্য সদস্যরা ইংরেজিতে দখল না থাকায় দিন কাটে কথা না বলার কষ্টে। এরপর বুদ্ধিমতি আমিনা আকার ইঙ্গিতে সবাইকে সামলিয়ে নিচ্ছেন।

স্বামী আলমগীরের সঙ্গে ইমুতে যোগাযোগের মাধ্যমে ও বাচ্চা শিহাবকে বুকে জড়িয়ে বাকি সময় পার করছেন তিনি। এছাড়া তিনি হ্যানয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছেন ভালোভাবে।

গোনিউজ২৪/এম

দেশজুড়ে বিভাগের আরো খবর
মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে কোটি টাকা নিয়ে পালালো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

দিনের শুরুতেই বিআরটিসি বাসের চাপায় নিহত ৪ 

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

ধারের টাকা দিতে না পারায় বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

বোমাটি বিস্ফোরিত হলে বাসের সবাই মারা যেতেন

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

রেললাইনে বোমা বিস্ফোরণের চেষ্টা, হাতেনাতে আটক ৩

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা

হাতকড়া পরা অবস্থায় বাবার জানাজায় বিএনপি নেতা